স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নির্মমভাবে হত্যা করেছেন এক চিকিৎসক। পরে বিষয়টি ভাইকে জানিয়েছেন তিনি।
ওয়ানইন্ডিয়া টুড ও আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) ভারতের উত্তর প্রদেশের কানপুরে ঘটেছে এমন ঘটনা।
স্ত্রী-সন্তানদের হত্যার পরই ভাইকে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠিয়েছিলেন চিকিৎসক। তিনি লেখেন, ‘লাশ গুনতে গুনতে আমি ক্লান্ত। ওমিক্রনের (করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন) সংক্রমণ থেকে কেউ রেহাই পাবে না। এমন পরিস্থিতির যাতে শিকার না হতে হয়, তাই ওদের মুক্তি দিচ্ছি। ’
পুলিশ আরও জানায়, চিকিৎসকের এ ধরনের বার্তা পেয়েই ঘটনাস্থলে যান তার ভাই। তিনি গিয়ে দেখেন একটি ঘরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন তার ভাবি। অন্য ঘরে ভাতিজা-ভাতিজি। এরপরই তিনি পুলিশে খবর দেন।
পুলিশ জানায়, স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে এবং দুই সন্তানকে হাতুড়ি দিয়ে মাথার খুলি ফাটিয়ে খুন করেছেন চিকিৎসক।
পুলিশকে চিকিৎসকের ভাই বলেন, তার ভাই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন।
ওমিক্রন আতঙ্কেই এই হত্যাকাণ্ড, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো রহস্য আছে, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
তদন্তকারীরা চিকিৎসকের ঘর থেকে একটি ডায়েরি উদ্ধার করেছেন। সেখানে তিনি হত্যার কথা লিখেছেন। শুধু তাই নয়, ওমিক্রনের কথাও সেখানে উল্লেখ করেছেন তিনি। তদন্তকারীদের দাবি, ডায়েরিতে এটাও স্পষ্ট করে লেখা, ‘এখন থেকে আর লাশ গুনতে হবে না। করোনা সবাইকে মারবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ২৩৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০২১
জেএইচটি