ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ছাত্রনেতা আনিস খানের হত্যা নিয়ে এখনো তোলপাড় চলছে।
পুলিশের ভূমিকা, সুষ্ঠু তদন্তের সদিচ্ছা―সবই যেন এখন সন্দেহের বেড়াজালে।
বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
রাজ্য পুলিশের ডিজি অমিত মালব্য বলেন, আমতা থানার হোমগার্ড কাশীনাথ বেরা ও সিভিক ভলান্টিয়ার প্রীতম ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে ঘটনার দিন রাতে তাদের কী ভূমিকা ছিল―তা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি ডিজি।
অমিত মালব্য বলেন, পুলিশ আবার ময়নাতদন্ত করতে চায়। কিন্তু আনিসের পরিবার রাজি হচ্ছে না। আনিসের মোবাইল ফোনও পুলিশকে দেওয়া হয়নি। তাই তদন্তে অসুবিধা হচ্ছে।
একদিকে আনিসের পরিবারের অসহযোগিতা, অন্যদিকে বিশেষ তদন্তকারী দলকে (সিট) কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ ডিজির।
সব মিলিয়ে আমতার ছাত্রনেতা আনিসের মৃত্যু নিয়ে রহস্য বাড়ছেই।
গত সোমবার দুপুরে সিট গঠন করে আনিসের মৃত্যুর তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্টও জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
এর আগে হাওড়া জেলার (গ্রামীণ) পুলিশ সুপার আনিসের বাড়িতে পুলিশ প্রবেশের বিষয়টি খারিজ করেছিলেন। কিন্তু ডিজি জানিয়েছিলেন, তদন্ত সম্পূর্ণ হওয়ার আগে পুলিশও সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়। এ ঘটনায় ভবানী ভবনে তলব করা হয়েছিল সাসপেন্ড হওয়া তিন পুলিশ সদস্য এবং একজন সিভিক পুলিশকে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, সাসপেন্ড হওয়া পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ছিলেন এএসআই নির্মল দাস, কনস্টেবল জিতেন্দ্র হেমব্রম ও কাশীনাথ বেরা।
তিনজনই শুক্রবার রাতে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সঙ্গে নিয়ে টহলের দায়িত্বে বেরিয়েছিলেন। আর ওই রাতেই আমতায় নিজের বাড়ির তিনতলার ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয় ছাত্রনেতা আনিসের।
তার পরিবারের অভিযোগ, পুলিশের পোশাকে চারজন সে রাতে তাদের বাড়িতে ঢোকেন। আনিসকে তারাই ছাদ থেকে ফেলে দিয়েছিলেন।
আর এতদিন আনিসের মৃত্যুকে ‘অস্বাভাবিক মৃত্যু’ হিসেবে দেখছিলেন তদন্তকারীরা। কিন্তু বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রাজ্য পুলিশের ডিজিপি একে ‘মার্ডার কেস’ (হত্যাকাণ্ড) হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
সূত্র: এবিপি, নিউজ১৮বাংলা
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২২
এনএসআর