আফগানিস্তানে ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর বেঁচে যাওয়া মানুষজন খাদ্য ও আশ্রয় সংকটে ভুগছে। সেইসঙ্গে সেখানে কলেরা রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ জুন) দিনগত রাতে আফগানিস্তানে ৬ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। দুই দশকের মধ্যে এটাই আফগানিস্তানের সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। এতে হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়।
এই ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, বিধ্বস্ত এলাকায় অনেক মানুষ এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া বাড়ি-ঘরে তাদের নিখোঁজ হওয়া স্বজনদের খুঁজছেন।
পাকতিকা প্রদেশের বারমাল জেলার বাসিন্দা আঘা জান বলেন, ভূমিকম্পে তার তিন শিশু সন্তান এবং দুই স্ত্রী নিহত হয়েছেন। যখন ভূমিকম্পটি হয় তখন আঘা দৌড়ে যান ঘরের মধ্যে কিন্তু ততক্ষণে সবকিছু ধ্বংসস্তূপের নিচে।
পাকতিকা প্রদেশে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর মধ্যে বারমাল জেলা অন্যতম।
এখন পর্যন্ত ভূমিকম্পে এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আর আহত হয়েছে তিন হাজারের মত মানুষ। এরইমধ্যে আফগানিস্তানের তালেবান সরকার উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করেছে।
আফগান এবং আন্তর্জাতিক সাহায্যকারী সংস্থাগুলো এখন ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ক্ষতিয়ে দেখছে। একই সঙ্গে তারা প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ করছে। কিন্তু ইতিমধ্যেই সেখানে মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে। এই সংকট আরো বাড়ছে।
এই ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় খোস্ত শহর থেকে ৪৪ কিলোমিটার দূরের একটি স্থানে। স্থানীয় সময় বুধবার রাত দেড়টায় এই ভূমিকম্প আঘাত হানে, যখন বেশিরভাগ মানুষ ঘুমিয়ে ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৯ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০২২
ইআর