ব্রিটেনের পার্লামেন্টের সদস্যরা নতুন প্রধানমন্ত্রী চান। এ লক্ষ্যে নেওয়া পদক্ষেপের ব্যাপারে আগামী সপ্তাহে ঘোষণা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, দুদিন ধরে ব্রিটেনের আইনপ্রনেতাদের পদত্যাগের পর বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) স্থানীয় সময় বিকেলে ডাউনিং স্ট্রিটের সামনে সংবাদ সম্মেলনে আসেন বরিস। পরে সেখানেই কনজারভেটিভ পার্টি থেকে নিজের পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এ সময় নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ব্যাপারে কথা বলেন তিনি।
বরিস জনসন বলেন, পার্লামেন্টে আইন প্রণেতারা দাবি করেছেন তারা একজন নতুন প্রধানমন্ত্রী চান। নতুন প্রধানমন্ত্রী একজনকে বাছাইয়ের সময়সীমা আগামী সপ্তাহে ঘোষণা করা হবে। তবে, নতুন নেতা নির্বাচনের প্রক্রিয়া এখন থেকেই শুরু হওয়া উচিত। আমি একটি মন্ত্রিসভা নিয়োগ দিয়েছি। একজন নতুন নেতা নির্বাচিত হওয়ার আগ পর্যন্ত আমি দায়িত্ব পালন করবো।
পদত্যাগের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে ব্রিটিশ সরকার প্রধান বলেন, ভোটারদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে চেয়েছিলেন তিনি। ব্যক্তিগত এ চাওয়া পূরণের লক্ষ্যে এতদিন সিদ্ধান্ত নিতে অপেক্ষা করছিলেন। এটা আমার দায়িত্ব, বলেন বরিস।
বরিস বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে সক্ষম হয়েছি আমি। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত যেটি- ব্রেক্সিট। সেটি আমি সম্পন্ন করেছি। যুক্তরাজ্যকে করোনা মহামারি থেকে সুরক্ষায় নানা পদক্ষেপ নিয়েছি।
এ সময় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নাম উল্লেখ করে বলেন, ইউক্রেনের তার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পশ্চিমাদের নেতৃত্ব দিয়েছি। কিন্তু অনেক বিষয়ে সফল হতে পারিনি।
সরকার পরিবর্তনের পক্ষে নন, এ বিষয়টি সহকর্মীদের বোঝাতেও চেষ্টা করেন বরিস। কিন্তু সফল হননি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিজের মেয়াদ পূর্ণ করতে না পারাকে ‘বেদনাদায়ক’ হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। বলেন, নিজ দলের সমর্থন ধরে রাখতে না পারায় সফলতা পাননি।
ভাষণে সবশেষে তার স্ত্রী-সন্তান এবং ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস, সশস্ত্র বাহিনী এবং ডাউনিং স্ট্রিটের সব স্টাফদের প্রতি বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান বরিস জনসন।
বাংলাদেশ সময় : ২০০০ ঘণ্টা, ৭ জুলাই, ২০২২
এমজে