মার্কিন ডলারের বিপরীতে ১৭ শতাংশ মান কমেছে রাশিয়ান মুদ্রা রুবলের। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টায় মান কমে রুশ মুদ্রার, যা চলতি বছর মে মাসের পর থেকে সর্বনিম্ন।
বৃহস্পতিবার সকালে মস্কো এক্সচেঞ্জে লেনদেনের সময় গ্রিনব্যাকের বিপরীতে রুবলের মান ওঠে ৬৪ দশমিক ৫ শতাংশ পর্যন্ত। রুশ কর্তৃপক্ষ চেয়েছিল রুবলের আধিপত্য ঠেকাতে। যে কারণে নিজেদের মুদ্রাবাজারেই তারা হস্তক্ষেপ করে। এতে ইউরোপে জ্বালানি রফতানি হ্রাস পায়।
মুদ্রা বাজার বিশ্লেষক নিক ট্রিকেট দ্য মস্কো টাইমসকে জানিয়েছেন, রাশিয়া কৃত্রিমভাবে বিনিময় হার কমাতে চীনের মুদ্রা ইউয়ানসহ বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলোর মুদ্রা ক্রয়ে সমন্বয় করছে; যাতে রুবলের বিনিময় হারকে সংকুচিত রাখা যায়।
রুবলের মানে ধস নামে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে। রাশিয়া প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেনে বিশেষ অভিযান চালানোর পর থেকেই রুবলের মান কমতে থাকে। কিন্তু ভিন্ন চিত্র দেখা যায় আমদানি হ্রাসসহ অন্যান্য কারণে। কেননা, আশ্চর্যজনকভাবে রুবল শক্তিশালী হয়ে উঠছিল।
নিজ দেশের মুদ্রা শক্তিশালী হয়ে উঠলে রাশিয়ার অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হয়। কেননা, এ মুদ্রার মান ওপরের দিকে যেতে থাকলে পণ্য রফতানিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
রাশিয়ান জ্বালানি রফতানির পতনের হারও রুবলকে দুর্বল করে দিচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আলফা ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ নাটালিয়া অরলোভা বলেন, ইউরোপে গ্যাস বিক্রি কমার মানে হলো রফতানি আয় হ্রাস। এর ফলে বাজারে বৈদেশিক মুদ্রা বিক্রি হ্রাস পেতে পারে।
গত সপ্তাহে মুদ্রাবাজারে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপের বিষয়ে ধারণা দিয়েছিলেন রুশ অর্থমন্ত্রী আন্তন সিলুয়ানোভ। তিনি বলেন, সরকার রুবলের ঊর্ধ্বমুখী চাপ স্বাভাবিক করতে মুদ্রাবাজারে হস্তক্ষেপের বিষয়টি বিবেচনা করছে।
বাংরাদেশ সময় : ১৪২৬ ঘণ্টা, ৮ জুলাই, ২০২২
এমজে