ঢাকা: ভারী বর্ষণ ও বজ্রপাতে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে সৌদি আরবে। উপকূলীয় শহর জেদ্দাসহ পশ্চিমাঞ্চলের বেশ কিছু শহরে প্রবল বৃষ্টিপাতে অন্তত দুজনের প্রাণহানি ঘটেছে।
সৌদি আরবের জাতীয় আবহাওয়া সেন্টারের বজ্রপাতের পূর্বাভাস অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মক্কার আঞ্চলিক সরকার টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় বলেছে, এখন পর্যন্ত দুজনের প্রাণহানির তথ্য রেকর্ড করা হয়েছে। আমরা প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার জন্য প্রত্যেকের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
আরব নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বন্যার কারণে সৌদি আরবের কিং আব্দুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয় ও ইউনিভার্সিটি অব জেদ্দার প্রথম সেমিস্টারের চূড়ান্ত পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে পরীক্ষার তারিখ জানানো হবে।
সৌদির বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগ বৈরী আবহাওয়া নিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। এতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি এবং শক্তিশালী ঝড়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বাসিন্দাদের প্রয়োজনীয় নিরাপদ নির্দেশনা ও আটকেপড়া পানি থেকে সাবধান থাকতে বলা হয়েছে। মৌসুমি জলবায়ুর কারণে আসন্ন বিমানের ফ্লাইটগুলো আসতে দেরি করছে। জেদ্দা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের ওয়েবসাইটে গালফ এয়ার, টার্কিশ এয়ারলাইন্স ও সৌদিয়া বিমানের পৌঁছার সময় পিছিয়ে দিয়েছে।
মক্কা ও জেদ্দা নগরীর মাঝে সংযোগকারী সড়ক বৃহস্পতিবার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। যদিও পরে সেটি খুলে দেওয়া হয়। জেদ্দার বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাটে হাঁটু পরিমাণ পানি জমে গেছে। অনেক এলাকায় রাস্তায় যানবাহন আটকা পড়েছে। কিছু কিছু যানবাহনের অর্ধাংশ প্রায় ডুবে গেছে।
জেদ্দায় প্রায় প্রতি বছরই শীতকালীন ঝড় ও বন্যা দেখা যায়। ২০০৯ সালে এই শহরে ভয়াবহ এক বন্যায় অন্তত ১২৩ জনের প্রাণহানি ঘটে। ২০১১ সালের বন্যায় আরও ১০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২২
এমজে