ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইসলাম

ইবাদতে মশগুল লাখো মুসল্লি

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৫
ইবাদতে মশগুল লাখো মুসল্লি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দান থেকে: টঙ্গীর তুরাগ তীরে চলছে বিশ্ব ইজতেমা দ্বিতীয় পর্ব। শুক্রবার (১৬ জানুয়ারি) বাদ ফজর থেকে বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর দ্বিতীয় বৃহত্তম এ জমায়েত।



তিন দিনব্যাপী ইবাদত বন্দেগী শেষে ১৮ জানুয়ারি রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ইজতেমা।

শুরুতেই বয়ান করেন দিল্লির মাওলানা মো. ইসমাইল হোসেন। যা বাংলায় তরজমা করেন বাংলাদেশের মাওলানা মো. নুরুর রহমান। মুসুল্লিদের বোঝার সুবিধার্থে বাংলার পাশাপাশি অন্যান্য ভাষাতেও উর্দুর মূল বয়ান তরজমা করা হচ্ছে।

দ্বিতীয়পর্বে ইজতেমার মূল কার্যক্রম শুক্রবার শুরু হলেও বৃহস্পতিবার বাদ আসর থেকেই দেশ-বিদেশের লাখো মুসুল্লির পদভারে মুখরিত হয়ে ওঠে তুরাগ তীর। ওইদিন বিকেল থেকেই লাখো মুসল্লিদের উদ্দেশে ঈমান, আমল ও আখলাকের প্রাক-বয়ান শুরু হয়।  

বিশ্ব ইজতেমা আয়োজক কমিটির মুরব্বি প্রকৌশলী মো. গিয়াস উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের জন্য সব রকমের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার ময়দানে দেশের বৃহত্তম জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

এতে ইমামতি করেন কাকরাইল মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলনা জোবায়ের হোসেন।

জুমার পর তিনিই বয়ান করেন। চলে আসর পযন্ত। বাদ আসর বয়ান করেন ভারতের মাওলানা ইসমাইল জাহুর হোসেন। বাদ মাগরিব বয়ান করেন ভারতের মাওলানা সা’দ।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ইজতেমা ময়দানে ৮৮ দেশের ৪ হাজার ৩০০ জন বিদেশি মেহমান এসে পৌঁছেছেন।

গাজীপুরের পুলিশ সুপার মো. হারুনর রশিদ বাংলানিউজকে বলেন, বিদেশি মেহমানসহ মুসুল্লিদের নিরাপত্তা ও সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, পুলিশের পাশাপাশি মাঠে থাকা বিজিবি সদস্যরাও ইজতেমার নিরাপত্তায় কাজ করছেন।

এদিকে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়ে গেলেও এখনও ইজতেমায় দেশে-বিদেশি মুসুল্লিদের আগমন অব্যাহত রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রাজধানীর কাকরাইল মসজিদে ১৯৪৬ সালে প্রথম ইজতেমার আয়োজন করা হয়। এরপর ১৯৪৮ সালে চট্টগ্রামের হাজী ক্যাম্পে এবং ১৯৫৮ সালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়।

১৯৬৬ সালে আরও বড় পরিসরে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে স্থানান্তর করা হয় বিশ্ব ইজতেমা।  

ইজতেমার জরুরি টেলিফোন নম্বর

জেলা প্রশাসন কন্ট্রোল রুম-(১)- ৯৮১৩৪০১, জেলা প্রশাসন কন্ট্রোল রুম-(২)-৯৮১৩৪০২, পুলিশ কন্ট্রোল রুম-৯৮১৩৪০৩, মিডিয়া সেন্টার-৯৮১৩৪০৮, র‌্যাব কন্ট্রোল রুম-(১) ৯৮১৫১১২, র‌্যাব কন্ট্রোল রুম-(২) ৯৮১৫১১৩, র‌্যাব কন্ট্রোল রুম-(৩) ৯৮১৫১১৪,স্বাস্থ্য বিভাগের কন্ট্রোল রুম- ৯৮১৩৪০৬, ৯৮১৭৫১৪, ৯৮১৭৫১৫, ৯৮১৭৫১৬, তথ্যকেন্দ্র ইজতেমা কর্তৃপক্ষ- ৯৮১৬৩৭০-৭৪, ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুম-৯৮১৬৩৬৯, বিদ্যুৎ বিভাগের কন্ট্রোল রুম-৯৮১৬৩৭৯।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৫

** জুমার পর বয়ান শুরু

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।