বুধবার (০১ জানুয়ারি) ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে তার বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। আদালত আগামী ২০ জানুয়ারি এই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেছেন।
পুলিশের অভিযোগ, রায়হান নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাওহীদের সদস্য। তবে তার পরিবারের দাবি, রায়হান মানসিক রোগী। ওই আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গোলাম ছারোয়ার খান জাকির জানিয়েছেন, অভিযোগ গঠন শুনানিতে আদালতে রায়হানের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
মামলার বিবরণীতে বলা হয়, ২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর রাত আড়াইটার সময় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনের দুই নম্বর গেটে অবৈধভাবে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করেন রায়হান। তখন কর্তব্যরত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে আটক করে।
পুলিশ ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদে রায়হান বলেন, তিনি হিযবুত তাওহীদের সঙ্গে যুক্ত। তার মোবাইল ফোন জব্দ করলে দেখা যায় যে, তিনি নিজের ছবি সম্বলিত ‘মারিয়ম তনয় ঈশা’নামে একটি ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে সেখানে হিযবুত তাওহীদের নেতা হিসেবে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতেন।
আটকের পর মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নয়ন মিয়া রায়হানের বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানায় দণ্ডবিধির দুটি ধারা এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি ধারায় মামলা দায়ের করেন। গত ১৫ অক্টোবর রায়হানের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন শেরেবাংলা নগর থানার এসআই আব্দুর রশীদ সরকার।
রায়হানের বাবা এস এম এমদাদুল হক এর আগে দাবি করেছিলেন, সে মানসিকভাবে অসুস্থ। সাত বছর ধরে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে তার চিকিৎসা চলছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০২০
কেআই/জেডএস