রিয়াজ কষ্ট পায়, কিন্তু মানিয়ে নেয়, তারপর থেকেই যোগাযোগ বন্ধ জেসির সঙ্গে। একদিন জেসিই ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠায় রিয়াজকে।
এমন অবস্থায় কী করবেন রিয়াজ? বিশেষজ্ঞরা বলেন, আমরা আপনার মানসিক অবস্থা ও মানসিক কষ্টটা বুঝতে পারছি। আপনি হয়ত কোনো কিছুতে মনোযোগী হতে পারছেন না’, যা অবশ্যই আপানর জন্য বিব্রতকর। একই সাথে প্রতিদিন চলতে গিয়ে বিভিন্ন কাজেও নিশ্চয়ই বিঘ্ন ঘটছে।
ভালোলাগা বিষয়টিতে কোনো দোষ নেই। কিন্তু সেই ভালোলাগা কতদূর পর্যন্ত যাবে তারও একটি মাত্রা নির্ধারিত থাকা উচিৎ। মেয়েটি বর্তমানে বিবাহিত। অনেক দিন পর রিয়াজের সাথে ফেসবুকে যোগাযোগ হয়েছে। দেখুন, অনেক দিন পর একজনের সাথে যোগাযোগ হতেই পারে। বন্ধু হিসেবে যোগাযোগ করতেই পারে। সেটির সাথে আপনার পূর্বের ভালোবাসা না মেলানোই ভালো।
জেসি নিজে থেকেই আবার যোগাযোগ বন্ধ করেছে। তার মানে সে রিয়াজের সঙ্গে বন্ধুত্ব ছাড়া অন্য কোনো সম্পর্কে যেতে আগ্রহী নয়। বর্তমানে তার সংসারে সে ভালোই আছে। সুতরাং বিষয়টিকে নিছক বন্ধুত্বের খাতিরে যোগাযোগ করেছিলো বলে ধরে নিয়ে রিয়াজকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে হবে।
মেয়েটির এই বন্ধুসুলভ ভাবটিকে আপনি স্বাভাবিক ভাবে নিতে পারলে বরং সুন্দর একটি উদাহরণই হবে। অন্যেদের মাঝেও বন্ধুত্বের বিষয়গুলি নিয়ে কোনো প্রশ্ন উঠবে না। তা নাহলে, মনে হবে, পূর্বের ভালোলাগা মানুষ কখনো বন্ধু হতে পারেনা। বন্ধুত্ব বন্ধুত্বই, সব সময় সেটা নিজস্ব সৌন্দর্য নিয়েই থাকতে পারে। কথা হতে পারে, দেখাও হতে পারে, তবে বারবার আগের কথা না তোলাই ভালো।