বাংলানিউজ: শীতে শিশুদের কী কী রোগ দেখা যায়?
কামরুল হাসান: মূলত এসময় শিশুরা নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, ঠাণ্ডা, কাশি, সর্দি এবং অ্যাজমায় বেশি আক্রান্ত হয়। আর সঙ্গে সিজনাল জ্বর তো রয়েছেই।
বাংলানিউজ: এসব রোগের লক্ষণগুলো--
কামরুল হাসান: ঠাণ্ডা অনেক দিন স্থায়ী হওয়া, শ্বাস নিতে কষ্ট অনুভব, বুকের খাঁচা দেবে যাওয়া, দ্রুত শ্বাস নেওয়া।
বাংলানিউজ: কারা বেশি আক্রান্ত হয়?
কামরুল হাসান: সাধারণত আমাদের দেশের অপুষ্ট কম ওজনের শিশুরাই এ ধরনের রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। আর দরিদ্র পরিবারের সন্তানরা সুষম খাদ্য এবং যত্নের অভাবে পুষ্টিহীনতায় ভোগে। তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কম থাকে।
বাংলানিউজ: কীভাবে সতর্ক হতে হবে?
কামরুল হাসান: শিশু অসুস্থ হলে মায়ের বুকের দুধ দিতে হবে এবং নিয়মিত খাবার খাওয়াতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে যেন তার ঠাণ্ডা না লাগে। তাদের ধুলোবালি থেকেও দূরে রাখতে হবে। শিশু একটানা তিন দিনের বেশি অসুস্থ থাকলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
চিকিৎসা:
নিউমোনিয়া প্রাথমিক পর্যায়ে সনাক্ত করা গেলে ১৫ দিনের চিকিৎসায়ই শিশু ভালো হয়ে যায়। আর ভাইরাস জনিত জ্বরও ৩ থেকে ৫ দিনেই সেরে যায়। শিশুকে জন্মের পর থেকে সবগুলো টিকা সময়মতো দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। টিকার পাশাপাশি ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর বিষয়েও তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, সবগুলো টিকা নিয়মিত দিলে শিশু বিভিন্ন মারাত্মক রোগ থেকে রক্ষা পায় এবং তার মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।
সাধারণ সর্দি, কাশিকে অবহেলা না করারও পরামর্শ দেন তিনি। শীতের মধ্যে আগুন জ্বেলে তাপ নেওয়ার সময় প্রতিবছর বহু দুর্ঘটনা ঘটে এবং এতে অনেক শিশু মারাত্মক আহত হয়, সবাইকে এবিষয়ে বিশেষভাবে সতর্ক করেন কামরুল হাসান।