ছোট ও হালকা ব্যাগ
সব সময় যে শুধু মহিলারাই ব্যাগ বহন করে তা নয়। পুরুষদেরও হাতে, কাঁধে, পিঠে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে পড়তে হয়।
প্রথম জার্নি যাদের
আগে কখনো বাসে উঠেনি এমন কাউকে ভিড় ঠেলাঠেলি করে লোকাস বাসে ওঠাবেন না। অতিরিক্ত মানুষের ভিড়ে তার অস্বস্তি ও মাথা ঘোরা শুরু হতে পারে। আপনি হয়ত তাকে শান্ত করার চেষ্টা করবেন। কিন্তু ১০ মিনিটের মাথায় আপনার শান্তনা বমি হয়ে জানলা দিয়ে বের হয়ে যাবে! তবে যদি ওঠতেই হয়, আগে একটি বমি নিরোধক ওষুধ খাইয়ে দিন। সঙ্গে রাখুন পলিব্যাগ।
হকারদের খাবার কিনবেন না
যাত্রাপথে অনেক হকারদের পাবেন যারা চকলেট, আচার, আলুর চিপস, আমড়া, শসা, অন্য খোলা খাবার নিয়ে আপনার সামনে হাজির হবে। মজার মজার কথা বলে পণ্য কিনতে আপনাকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করবে। কিন্তু সাধু সাবধান! এসব খাবার একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়।
সংরক্ষিত সিট ছেড়ে বসুন
নারী ও প্রতিবন্ধিদের জন্য বরাদ্দ আসনে বসার অভ্যাস অনেকেরই আছে। যা একেবারেই উচিত নয়। এতে নিজেরই সম্মানের ক্ষতি হয়। মহিলা উঠলেই তার আসন ছেড়ে আপনাকে দাঁড়াতে হবে জেনেও বসে থাকা মানে আপনার অপমানবোধই নেই।
ইঞ্জিন কাভার সিট নয়
ঢুকেই দরজার সামনের সিটটিই ইঞ্জিন কাভার। অতিরিক্ত যাত্রী তুলতে এটাকে সিট হিসেবে ব্যবহার করা হয়। সামনে বসে সব দেখতে দেখতে যাবেন ভেবে যদি ইঞ্জিন কাভারে চট করে বসে যান তাহলে বোকামি করলেন। কারণ ইঞ্জিন কাভার থেকে অতিরিক্ত তাপ নির্গত হয়। নিজের ভুল ধরতে খুব বেশি সময় লাগবে না!
বাসে ঘুমাবেন না
অনেকেই বাসার থেকে বাসেই ঘুমান বেশি। পাশের সিটের যাত্রীর গায়ে ঘুমালে তিনি শুধু বিরক্তই হবেন না, তার আক্রমণেরও শিকার হতে পারেন। আর ঘাপটি মেরে বসে থাকা দুষ্ট কোনো লোক আপনার ঘুমের জন্যই অপেক্ষা করছে কিনা কে জানে! বাস থেকে নেমে দেখলেন আপনার পকেট কাটা!
বামপায়ে নামুন
লোকাল বাস আপনাকে আদর করে তুলে ঘাড় ধরে নামাবে। তাড়াহুড়া করে নামতে গিয়ে তাই অনেক সময় ঘটে বিপত্তি। বাস থেকে নামার সময় বাম পা আগে সামনে বাড়িয়ে দিন। তাহলে বাসের গতির সঙ্গে শরীরের ভারসাম্য ঠিক থাকবে। পড়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
পানির বোতল সঙ্গে রাখুন
যেকোনো ধরনের জার্নিতেই পানির বোতল সঙ্গে রাখা বুদ্ধিমানের কাজ। তাছাড়া যানজটে বসে থেকে গলা শুকিয়ে গেলে, পানিই হতে পারে একমাত্র ভরসা।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৮
এমএসএ/এনটি