ব্যাগ কেনার সময় কেমন পরিবেশে কোন ব্যাগ ব্যবহার করতে হয়, এবিষয়টির দিকেও লক্ষ্য রাখতে হয়। যেমন অফিসের জন্য কয়েকটি চেম্বারসহ ব্যাগ।
একটু বড় আকারের এই ব্যাগগুলো চামড়া বা কাপড় দিয়ে তৈরি হয়। তবে দেশি ফ্যাশন হাউসগুলোতে পাট দিয়ে তৈরি ফ্যাশনেবল ব্যাগও পাওয়া যায়। ৬০০ থেকে ২০০০ টাকার মধ্যেই পেয়ে যাবেন পছন্দের ব্যাগ।
পার্টিতে যাওয়ার জন্য কিনতে হবে ফ্যাশনেবল ক্ল্যাচ ব্যাগ। অবশ্যই ছোট আকারের। পার্টি ব্যাগের ক্ষেত্রে মখমল বা কাতান কাপড়ে মোড়ানো পাথর বসানো ব্যাগগুলো আজকাল বেশি চলছে। ১০০০ থেকে ৩০০০ টাকার মধ্যেই পাবেন ক্ল্যাচ ব্যাগ।
পুতি আর পাথরের ছোট ব্যাগের দুনিয়ায় ঘটে গেছে নিঃশব্দ বিপ্লব। বটুয়া ব্যাগ ফিরে এসেছে নতুন রূপে। জমকালো পার্টিতে বটুয়া দারুণ মানানসই।
দাম ৩৫০ থেকে শুরু করে ১০০০ টাকা পর্যন্ত। রুচি আর সাধ্যের মধ্যে সমন্বয় ঘটিয়ে দু’একটা ‘বটুয়া’ স্টকে রাখতেই পারেন।
কলেজ ভার্সিটিতে যাওয়ার জন্য প্রয়োজন ফ্যাশনেবল কাঁধে ঝোলানো ব্যাগ। ৬০০ থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায় এই ব্যাগগুলো।
প্রযুক্তির এই সময়ে চাকরিজীবী বা ছাত্রী সবার সঙ্গে থাকে কিছু প্রযুক্তি পণ্য। যেমন মোবাইল, ল্যাপটপ, নোটবুক। এগুলো বহনে কিছুটা সতর্কতা প্রয়োজন। তাই এগুলো রাখার জন্য ব্যাগ কেনার সময় দেখে শুনে কিনতে হবে। ব্যাগের ভেতরে পর্যাপ্ত জায়গা থাকে। আর ব্যাগের বাইরের আবরণ যেন ফোম দেয়া থাকে। ১৫০০ থেকে ২৫০০ টাকায় ব্যাগগুলো কিনতে পাবেন।
এছাড়া বাচ্চা নিয়ে কোথাও যেতে হলে চাই একটু বড় আকারের ব্যাগ।
রাজধানীর নিউমার্কেট, বসুন্ধরা সিটি, আজিজ সুপার মার্কেট, গাউসিয়া, চাঁদনীচক, রাপা প্লাজা, গুলশানের পিংক সিটি, ফ্যাশন হাউস রঙ, নগরদোলা, অঞ্জন’স সহ দেশের সব শপিং সেন্টারেই রয়েছে নানা ধরনের ব্যাগের সম্ভার। দেশি, চাইনিজ ও থাইল্যান্ডের ব্যাগই বেশি পাওয়া যায় আমাদের দেশে।
ব্যাগের মান এবং আকারের ওপর নির্ভর করে এগুলোর দাম।
যত্ন:
• বাজারে লেদার প্রটেকশন ও কন্ডিশনিং ক্রিম অথবা স্প্রে পাওয়া যায়। এ সকল ক্রিম অথবা স্প্রে বছরে অন্তত দুইবার ব্যবহার করতে হবে
• কসমেটিক আইটেম যেমন, লিপস্টিক, নেইল-পালিশ অথবা আই-লাইনার খোলা না রেখে একটি ছোট বক্সে রাখবেন।
• ব্যাগ সংরক্ষণের সময় ঝুলিয়ে রাখবেন না।
• তাই ব্যাগ কেনার সময় গুণগত মান যাচাই করে নিন।