নিজের রাজ্যে যেন তার খেলনাগুলোরও জায়গা হয়, একপাশে ছোট করে পড়ার একটা টেবিল যোগ হতে পারে।
বাবা-মা কে বেশ বড় লিস্টই ধরিয়ে দিয়েছে তাদের রাজকন্যা।
বাচ্চারা যেন সহজে এই বিষয়টি মেনে নেয়, এজন্য তাদের পছন্দমতো একটা ঘর উপহার হিসেবে দেয়া যায় সামনের জন্মদিনেই।
বিশেষ এই ঘরটির গল্প তার সঙ্গে বারবার করতে হবে। শিশুদের জন্য তৈরি ঘরগুলো সাজাতে হবে নানা রঙের সব আসবাবপত্র দিয়ে। সঙ্গে রাখতে হবে সব খেলনার ব্যবস্থা। খাটের উচ্চতাও হবে শিশুদের উপযোগী করে। রাতে মৃদু আলো রাখতে হবে, যেন শিশু একা অন্ধকারে ভয় না পায়।
মেয়ে শিশুর ঘর তো রাজকন্যার মতো করে দেয়া যায়। কিন্তু ছেলে শিশুর ঘর কেমন হবে! এই নিয়ে চিন্তায় তিন বছরের আইয়ানের বাবা। তার জন্য সমাধান হচ্ছে একটা গাড়ি বিছানা। সন্তানের পছন্দমতো রং দিয়ে বোর্ডের একটি গাড়ির আকারের বিছানা হতে পারে জন্মদিনের বেস্ট গিফট।
শিশুরা কল্পনার রাজ্যে ঘুরে বেড়ায়। তাদের ঘরটিও তাই তার স্বপ্ন পূরণের কাছাকাছি নিয়ে যেতে পারেন বাবা-মায়েরা।
আর এজন্য একটু কষ্ট করে পছন্দের একটি ডিজাইন সিলেক্ট করুন। এরপর ভালোমানের বোর্ড দিয়ে অর্ডার দিয়ে বানিয়ে নিন। স্বপ্নের ঘর, বোর্ড দেয়ার কারণ হচ্ছে এই ঘর তো একটু বড় হলেই শিশুর আর ভালো লাগবে না। তখন এটা সরিয়ে তার পছন্দমতো ফার্নিচার তৈরি করে দেবেন।
তবে ইন্টেরিয়র ডিজাইনাররাও অভিভাবকদের চাহিদা ও বাজেট অনুসারে শিশুদের ঘর নানা ভাবে সাজিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে খরচ ৩০ হাজার টাকা থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত পড়তে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৮
এসআইএস