শীতে সবচেয়ে বেশি যে সমস্যা দেখা যায় তা হলো ত্বকের শুষ্কতা। তৈলাক্ত ত্বকও এ সময় মলিন হয়ে যায়।
পাকা কলা
পাকা কলার খোসা ছাড়িয়ে চটকে নিন। এবার এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েলের সঙ্গে এক টেবিল চামচ চটকানো কলা ভালো করে মিশিয়ে নিন। মুখ ধুয়ে মিশ্রণটি লাগিয়ে নিন। ২০ মিনিট রেখে পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করুন। আপনার ত্বক হয়ে উঠবে আগের থেকে অনেক বেশি উজ্জ্বল।
পাকা পেঁপে
আধা কাপ চটকানো পাকা পেঁপের সঙ্গে এক টেবিল চামচ মধু ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার মুখে ভালো করে লাগিয়ে রাখুন। আধ ঘণ্টা পরে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে তিন থেকে চারবার এই মিশ্রণ ব্যবহারে ত্বকের আর্দ্রতা ও মসৃণতা ফিরে আসবে।
অ্যালোভেরা
শুষ্ক ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরার ব্যবহার অতুলনীয়। অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে এক চামচ নারিকেল তেল বা অলিভ অয়েল ভালো করে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে রেখে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। সাধারণত অ্যালোভেরা জেল ও নারিকেল তেল ত্বকে পরিশোধনের কাজ করে। যা ত্বক থেকে দূষিত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে।
ওটস
সামান্য দুধে ওটস ভিজিয়ে রাখুন। তাতে মধু মিশিয়ে নিন। এবার মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে নিন। তিন থেকে চার মিনিট পর অল্প শুকিয়ে এলে, আলতোভাবে কিছুক্ষণ ঘষুন। এবার উষ্ণ গরম পানিতে মুখ ধুয়ে নিন। এ মিশ্রণটি ত্বকের জেল্লা ফিরিয়ে আনতে এবং ত্বককে কোমল রাখতে খুবই উপকারী।
জলপাই তেল
অলিভ অয়েল বা জলপাই তেলে রয়েছে ভিটামিন ‘এ’, ‘ই’ এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যা ত্বককে সতেজ রাখে ও ময়েশ্চারাইজ করে।
নারিকেল তেল
ফেটে যাওয়া ত্বকের লাবণ্য ফিরিয়ে আনতে নারিকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন। প্রতিদিন গোসলের আগে নারিকেল তেল দিয়ে মাসাজ করুন। তেল ম্যাসাজ করলে ত্বকে ময়েশ্চারাইজার লাগানোর প্রয়োজন হয় না।
বেসন-দুধের পেস্ট
দুধের ভিটামিন ও মিনারেল ত্বককে সতেজ করে তোলে। আর ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে ও বয়সের ছাপ কমাতেও বেসনের জুড়ি নেই। দুধ ও বেসনের পেস্টটি সপ্তাহে দুই বার ব্যবহার করে ত্বককে প্রাণবন্ত করে তুলুন।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০২১
এএটি