সিলেট: সহকর্মীর মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র শটগানের বাট দিয়ে আঘাত করার কারণে দুই পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।
বরখাস্ত হওয়া দুই পুলিশ সদস্য হলেন— সিলেট মহানগর পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. রুবেল মিয়া ও নায়েক প্রণজিৎ।
মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (সদর ও প্রশাসন) মো. কামরুল আমীন স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
মঙ্গলবার (০৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) সুদীপ দাস বাংলানিউজকে বলেন, মারামারির ঘটনায় এ দুই পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তারা সিলেট পুলিশ লাইন্সে কর্মরত ছিলেন। তবে সহকর্মীকে শটগানের বাট দিয়ে আঘাতের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। শুনেছেন, মারামারির ঘটনায় তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, পুলিশ লাইন্সে দুই পুলিশের হাতাহাতির ঘটনায় বাংলাদেশ সার্ভিস রুলসের বিধি ৭৩ এবং পিআরবি-৮৮০ প্রবিধান অনুযায়ী রুবেল মিয়া ও প্রণজিৎকে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এরকম ঘটনা আর যাতে না ঘটে সেজন্য অন্যদেরও সতর্ক করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, উপসহকারী পরিদর্শক (এএসআই) রুবেল মিয়া সিলেট পুলিশ লাইন্সে ডিউটি বন্টনের দায়িত্বে ছিলেন ও সদস্যদের তদারকিতে করতেন।
গত শনিবার( ৩ ডিসেম্বর) দুপুরে ডিউটিরত অবস্থায় পুলিশের নায়েক প্রণজিৎকে তার দায়িত্বস্থলে না পেয়ে আরেক পুলিশ সদস্যকে দিয়ে ডেকে পাঠান। এ নিয়ে প্রণজিৎ তার সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়ান। একপর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হলে প্রণজিৎ সঙ্গে থাকা শর্টগান দিয়ে এএসআই রুবেলের মাথায় আঘাত করেন। এতে রুবেল আহত হলে তাৎক্ষনিক অন্য সদস্যরা তাকে সিলেট বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এরআগে গত ২৪ নভেম্বর সিলেটে পুলিশ কর্মকর্তার ছেলেকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৩ কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
ওই ঘটনায় বরখাস্তকৃতরা হলেন-সিলেট মহানগর পুলিশে কর্মরত কনস্টেবল মো. ঝুনু হোসেন জয় (বিপি ০১২০২৩৬৪২৪), ইমরান মিয়া (বিপি-০১২০২৩৫৫৪৭) ও মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ (বিপি-০০২০২৩০৯৯৯)।
এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার নিজেদের মধ্যে মারামারিতে জড়িয়ে আরেকটি বরখাস্ত হওয়ার ঘটনা ঘটল সিলেটে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০২২
এনইউ/এসএএইচ