ঢাকা: তেজগাঁও থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান সহকারী (ক্যাশ) মো. আনিসুর রহামনকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
প্রকল্প পরিচালকের স্বাক্ষর নকল করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ৪৪ কোটি টাকা উত্তোলন করে আত্মসাতের মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে আনিসুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারের বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ শফিউল্লাহ।
গত ২৩ অক্টোবর মো. আনিসুর রহমানসহ তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করে দুদক। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ দুদক কর্মকর্তা এস এম এম আখতার হামিদ ভূঞা বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
আনিসুর ছাড়া এই মামলার অন্য দুই আসামি হলেন- এম জাহান ট্রেডার্সের প্রোপ্রাইটর মো. মহসীন আলী ও গ্রিন ট্রেডার্সের স্বত্ত্বাধিকারী মো. মাহফুজ হুদা সৈকত।
সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এই তিনজনের বিরুদ্ধে দুদক সেসময় দন্ডবিধির ৪০৬/৪০৯/৪২০/ ৪৬৭ / ৪৯১/ ১০৯ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়।
আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, কাজ না করে বা চাহিদা মোতাবেক পণ্য সরবরাহ না করেই দুটি প্রকল্পের অর্থ জালিয়াতির মাধ্যমে বিল প্রস্তুত করে উত্তোলন করেন তারা। স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর নকল করে এ জালিয়াতি করেন তারা। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় চিফ অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফিন্যান্স অফিসারকে জমা দিয়ে উত্তোলন মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গোপালগঞ্জের শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং নার্সিং কলেজ স্থাপন প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ২১ কোটি ৮৩ লাখ ২৮ হাজার ৫১২ টাকা, সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ ও ৫০০ শয্যার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল স্থাপন প্রকল্পের বরাদ্দ হওয়া সরকারি ২১ কোটি ৮৪ লাখ ২৪ হাজার ৯০৩ টাকাসহ মোট ৪৩ কোটি ৬৭ লাখ ৫৩ হাজার ৪১২ টাকা অর্থ আত্মসাৎ করেন আসামিরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২২
এসআর/এসএএইচ