ঢাকা: বিএনপির সাবেক মহাসচিব প্রয়াত খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের পরিবারের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে কয়েকজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) হাতিরঝিল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন খোন্দকার দেলোয়ারের পুত্রবধূ তানজিন হামিদ মিতুল।
অভিযোগ অনুসারে, গত শুক্রবার (৩ অক্টোবর) রাতে স্থানীয় যুবদল নেতা শাওন (২৫), হাবিব (৩৫), সাজিদ (২২) ও সানি (৩৫) ভয়ভীতি দেখিয়ে মরহুম খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের পুত্র মরহুম খন্দকার আব্দুল হামিদ ডাবলুর স্ত্রী তানজিন হামিদ মিতুলের কাছ থেকে এক লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেছেন। মিতুলের দাবি, চাঁদা আদায়কারীরা স্থানীয় যুবদলের আহ্বায়ক কমিটিতে আছেন।
তানজিন হামিদ মিতুল অভিযোগে বলেন, গত শুক্রবার রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে আমার বড় বোন শারমিন ওয়াদুদ নিপা (৪৬) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে কল দিয়ে বলেন, তার নগদ এক লক্ষ টাকা প্রয়োজন। আমি রাত আনুমানিক ১১টা ২০ মিনিটে আমার বড় বোন শারমিন ওয়াদুদ নিপার বর্তমান ঠিকানা হাতিরঝিল থানাধীন মগবাজার গাবতলার ৬৫৩ নং বাসার ৪র্থ তলায় (৪/বি) গিয়ে শাওন, হাবিব, সাজিদ ও সানিকে সেখানে অবস্থান করতে দেখি। তখন আমি আমার বড় বোনকে তারা এত রাতে কী করে জিজ্ঞেস করা মাত্রই শাওন কোমরে থাকা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমাকে ভয়ভীতি দেখান। তখন আমার বড় বোনের কাছ থেকে এক লাখ টাকা দাবি করে তারা চারজন বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকি দেন।
অভিযোগে তিনি আরও বলেন, এক পর্যায়ে তাদের কথা মতো রাত আনুমানিক ১২টার সময় মগবাজার সিটি ব্যাংকের বুথ থেকে ৮০ হাজার টাকা উত্তোলন করে সানিকে দেই এবং আমার নিজ নামীয় সিটি ব্যাংকের হিসাব থেকে তাকে ২০ হাজার টাকার একটি চেক প্রদান করি, যার চেক নং-৪১০৩১৭৩।
তানজিন হামিদ মিতুল বলেন, পরে রাত আনুমানিক ১২টা ২০ মিনিটের সময় আমার বড় বোনের বাসায় পুনরায় যাই। তখন ওই চারজন আমার বোন ও আমাকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখিয়ে বলেন, আমার বোনের নিজ নামীয় ফ্ল্যাট আগামী মাসের মধ্যে খালি করে চলে যেতে হবে। না হলে আমার বড় বোনের ও তার সন্তানদের প্রাণনাশ করবেন।
তানজিন হামিদ মিতুল বাংলানিউজকে বলেন, এই ঘটনার পর থেকে আমি এবং আমার বোনের পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমরা হাতিরঝিল থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছে।
চাঁদা আদায়কারীদের পরিচয় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা স্থানীয় যুবদলের আহ্বায়ক কমিটিতে আছেন। তাদের একজন যুবদলের হাতিরঝিল থানার ধর্মবিষয়ক সম্পাদক।
এই বিষয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় পর্যায়ে অভিযোগ জানানো হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন দলীয় পর্যায়ে অভিযোগ জানানো হয়নি। তবে মামলা হলে জানাবেন বলে জানান মিতুল।
জানতে চাইলে হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাজু বাংলানিউজকে বলেন, এই বিষয়ে আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আমরা ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখাসহ অন্যান্য তদন্ত করছি। অভিযোগটি মামলায় রূপান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
তবে চাঁদা আদায়কারীদের পরিচয় সম্পর্কে তিনি কিছু বলতে পারেননি।
এসসি/এইচএ/