নোয়াখালী: নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় নাসরিন আক্তার নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ রেখে পালালো শ্বশুর বাড়ির লোকজন। পরে খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় মৃতের থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও দেবরের বিরুদ্ধে।
সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে গৃহবধূর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এরআগে, রোববার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের পশ্চিম ছাতারপাইয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত গৃহবধূ নাসরিন আক্তার উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের পশ্চিম ছাতারপাইয়া গ্রামের মো. জহিরের স্ত্রী।
মৃতের মা পান্না আক্তার জানান, তিন বছর আগে সেনবাগ উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের পশ্চিম ছাতারপাইয়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে অটোরিকশা চালক মো. জহিরের সঙ্গে বিয়ে হয় তার মেয়ে নাসরিন আক্তারের। বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন সময় যৌতুকের দাবিতে মেয়ের ওপর নির্যাতন করে আসছিল তার স্বামী জহির। এছাড়া শ্বশুর, শাশুড়ি ও দেবর তুচ্ছ ঘটনায় নাসরিনকে মানসিক নির্যাতন ও মারধর করতো। তার স্বামী পরকীয়া করতো, ঠিক মতো বাড়ি ফিরতো না। মেয়ের খোঁজখবর রাখতে তিনি দুইটি মুঠোফোন দিয়েছিলেন মেয়েকে। ফোনগুলো তার স্বামী ছিনিয়ে নেয়।
সর্বশেষ চলতি মাসের ১৩ ডিসেম্বর ও ১৭ ডিসেম্বর তাকে মারধর করে তার শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। খবর পেয়ে মেয়ের স্বামীর বাড়িতে যান। সেখানে নাসরিন তাকে জানায় মারধর করে স্বামীর বাড়ি থেকে তাড়ানোর হুমকি দিয়েছে স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা।
সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে। মৃতের বাবা সোনাইমুড়ী উপজেলার বারগাঁও ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ হোসেন বাদী হয়ে এ ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে স্বামীসহ তার পরিবারের একাধিক সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২২
জেএইচ