ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ঈশ্বরদী-রূপপুর পারমাণবিক রেলরুট পরিদর্শনে রেল পরিদর্শক

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০২৩
ঈশ্বরদী-রূপপুর পারমাণবিক রেলরুট পরিদর্শনে রেল পরিদর্শক

পাবনা (ঈশ্বরদী): রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে মালামাল-যন্ত্রপাতি নিতে ঈশ্বরদী-পাকশী রুটে সিগনালিংসহ রেললাইন সংস্কার ও নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেছেন সরকারি রেল পরিদর্শক (জিআইবিআর) রুহুল কাদের আজাদ।

সোমবার (০৯ জানুয়ারি) দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত গ্যাংকার ইঞ্জিনে তিনি রুটটি পরিদর্শন করেন।

এ সময় সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী আসাদুল হক, পাকশি বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শাহ সুফী নুর মোহাম্মদ, পরিবহন কর্মকর্তা, আনোয়ার হোসেন, সেতু প্রকৌশলী, আব্দুর রহিম, বাণিজ্যিক কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন, প্রকৌশলী-২ বীরবল মণ্ডল, সংকেত ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলী (সংকেত) এম এম রাজিব বিল্লাহ, সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী শিপন আলী, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সিসিএলের জি এম রাসেল আহমেদ, এসিএলের জি এম ইমরান খান প্রমুখ।

পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের প্রকৌশলী-২ বীরবল মণ্ডল বাংলানিউজকে জানান, ২০১৮ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ছিল প্রকল্পের মেয়াদ। ভারতের জিপিটি এবং বাংলাদেশের এসইএল ও সিসিএল অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে (জয়েন্ট ভেঞ্চার) ৩৩৬ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ব্যায়ে ২৬ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ রেলপথ, ঈশ্বরদী জংশন স্টেশন প্লার্টফর্ম উঁচু, ইন্টারলকিং সিগন্যালিং ব্যবস্থা, প্রবর্তন, স্টেশনের কাজ শেষ হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় ২৫ দশমিক ৯৫ কিলোমিটার নতুন রেললাইন, সাতটি কালভার্ট, ১৩টি লেভেল ক্রসিং গেট, একটি ‘বি’ শ্রেণীর স্টেশন ভবন, একটি প্ল্যাটফর্মের কাজ শেষ করা হয়েছে।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক আসাদূল হক বাংলানিউজকে জানান, ব্রিটিশ আমলের পাইলট ট্রেন চলতো। নব্বই দশকের শুরুতেই  তৎকালীন সরকার কোনো কারণ ছাড়াই পাইলট ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়। এ রেলপথে শুধু রেলের বিভাগীয় কর্মকর্তাদের মোটর ট্রলি মাঝে মধ্যে চলাচল করতো। পরিত্যক্ত রেললাইন সরিয়ে আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন নতুন রেলপথ নির্মাণ করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, এ প্রকল্পের যাবতীয় কাজ শেষ হয়েছে। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে রেলপথমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকল্পের কাজ উদ্বোধন করবেন।

সরকারি রেল পরিদর্শক (জিআইবিআর) রুহুল কাদের আজাদ বাংলানিউজকে জানান, প্রকল্পের সবগুলো কাজ পরিদর্শন করা হয়েছে। নির্মাণ কাজ সন্তোষজনক। দ্রুতই মন্ত্রণালয়ে রিপোর্ট দেওয়া হবে। অনুমোদন হয়ে গেলে রেলপথমন্ত্রী প্রকল্পটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করবেন। প্রকল্পটি চালু হলে মংলা ও চট্রগ্রাম বন্দরসহ বিদেশ থেকে বিভিন্ন মালামাল রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে স্বল্প খরচে নেওয়া যাবে।

তিনি আরও বলেন, এলাকাবাসীর চাহিদা থাকলে এখান থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত একটি সাটল ট্রেন চলাচলের বিষয়টি মন্ত্রনালয়ে জানানো হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০২২
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।