হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করছে মোটরসাইকেল ও মানুষ। এতে চলাচলকারীদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে টাকা।
টাকা উত্তোলনকারী ব্যক্তির দাবি তাকে টাকা উত্তোলনের অনুমতি দিয়েছেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও সদস্যরা।
স্থানীয়রা জানান, গেল বন্যায় পাহাড়পুর সড়কের বিভিন্ন অংশ ভেঙে যায়। মাটিয়াখাড়া ও উদয়পুরের মাঝে ভেঙে যাওয়া স্থানে স্থানীয় মহাদেব দাশসহ কয়েকজন একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করেন। এতে যাতায়াতকারী মানুষদের কাছ থেকে মাথাপিছু ৫ টাকা করে নিচ্ছেন তারা। ২০ টাকা নেওয়া হয় মোটরসাইকেল পারাপারে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নির্মিত বাঁশের সাঁকোটি জরাজীর্ণ। দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়েই লোকজন চলাচল করছেন এই সেতু দিয়ে। অনেক কষ্ট করে পার করতে হচ্ছে মোটরসাইকেল। এরপরও টাকা দিতে হচ্ছে লোকজনকে।
এলাকার একজন বলেন, ‘সরকারি সড়কে মানুষদের কাছ থেকে প্রকাশ্যে বেআইনিভাবে টাকা নেওয়া হচ্ছে। টাকা উত্তোলনের জন্য তারা কোনো সরকারি দপ্তরের অনুমতিও পাননি। পেছনে থেকে শক্তি যোগাচ্ছেন কয়েকজন জনপ্রতিনিধি।
টাকা উত্তোলনকারী মহাদেব দাশ জানান, সাঁকো তৈরি করে টাকা উত্তোলনের জন্য তাকে অনুমতি দিয়েছেন বদলপুর ইউপি চেয়ারম্যান সুষেনজিৎ চৌধুরী, সদস্য অটল দাস, অরুণ কুমার তালুকদার ও অদৈত্য তালুকদার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, প্রায় ৩০ হাজার টাকা দিয়ে বাঁশের সাঁকোটি তৈরি করা হয়েছে। সেখান থেকে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা রোজগার হচ্ছে। অথচ জনপ্রতিনিধিরা যদি সরকারি অর্থে সেখানে একটি সাঁকো নির্মাণ করে দিতেন তাহলে মানুষদের এভাবে টাকা দিতে হতো না।
এ বিষয়ে কথা বলতে ইউপি চেয়ারম্যান সুষেনজিৎ চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়। ইউপি সদস্য অদৈত্য তালুকদারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে অন্য আরেকজন কলটি রিসিভ করেন। যাতায়াতকারীদের কাছ থেকে দুয়েক টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে স্বীকার করেছেন পরিষদের সদস্য অরুণ কুমার তালুকদার।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলী তানজির উল্লা আহমেদ সিদ্দিকী জানান, সড়কটি দ্রুত মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২৩
আরএ