ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

দুবাইফেরত নারীকে মা ডেকে টাকা-পাসপোর্ট নিয়ে চম্পট

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৩
দুবাইফেরত নারীকে মা ডেকে টাকা-পাসপোর্ট নিয়ে চম্পট ভুক্তভোগী নাজমা আক্তার

ঢাকা: দুবাই থেকে বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) দেশে ফেরা এক নারীকে মা ডেকে সখ্য গড়ে তুলে জুস পান করান এক ব্যক্তি। জুসে আগেই মেশানো ছিল চেতনানাশক ওষুধ।

আর সেই জুস পান করে ওই নারী অচেতন হয়ে পড়লে তার টাকা ও পাসপোর্ট নিয়ে চম্পট দেয় সেই ব্যক্তি।   

বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানী শাহবাগে ঘটেছে এই ঘটনা।  

ভুক্তভোগী নারীর নাম নাজমা আক্তার (৩৬)। বুধবার শাহবাগ সরকারি কর্মচারী হাসপাতালে সামনে অসুস্থ অবস্থায় পড়েছিলেন তিনি। দুবাই থেকে আজ (বুধবার) ঢাকায় ফেরেন তিনি। তার দাবি, ব্যাগে থাকা ৫০ হাজার টাকা ও পাসপোর্ট নিয়ে গেছে ওই লোক।

গুলশান ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজের ছাত্রী সাদিয়া নূর নিহা ও তার ভাই নিয়াজের সহযোগিতায় ওই নারীকে বিকাল পৌনে ৪টার দিকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে (ঢামেক) নিয়ে আসে পুলিশ। পরে চিকিৎসকের নির্দেশে তার পাকস্থলী পরিস্কার করা হয়।

ঘটনার বিষয়ে শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহরিয়ার বলেন, ওই নারীর কাছেই জেনেছি তিনি আজ দুবাই থেকে ঢাকায় এসেছেন। তার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ও পাসপোর্ট নিয়ে গেছে কেউ। ঘটনার সত্যতা এখনও নিশ্চিত করা যায়নি। তিনি পরিপূর্ণ সুস্থ হলে বিস্তারিত জানা যাবে।  

হাসপাতালে অসুস্থ নাজমা অস্পষ্ট ভাষায় বলেন, আমার বাসা নারায়ণগঞ্জ এলাকায়। আমার স্বামীর নাম হুমায়ুন কবির। আমি এক বছর ধরে দুবাইতে থাকতাম। জরুরি কাজে আজ দুবাই থেকে ঢাকায় আসি। এয়ারপোর্ট রোডে এলে লোক আমার সঙ্গে কথা বলেন। সেই লোক আমাকে বলেন, তার মায়ের চেহারা হুবহু আমার মতো। তিনি আমাকে মা বলে সম্বোধন করেন। পরে তার সঙ্গে একটি বাসে করে শাহবাগের দিকে আসি। শাহবাগ থেকে একটি রিকশাযোগে গুলিস্তান যাওয়ার পথে আমাকে জুস খাওয়ায় ওই লোক। এরপর আমি আস্তে আস্তে অসুস্থ হয়ে পড়ি। কিছুক্ষণ পর খেয়াল হয় আমার কাছে থাকা ব্যাগটি নেই। ব্যাগে ৫০ হাজার টাকা ও পাসপোর্ট ছিল।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২৩
এজেডএস/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।