ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

স্কুলের সাউন্ড বক্স ঠিক করতে সরকারি বই বিক্রি!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৩
স্কুলের সাউন্ড বক্স ঠিক করতে সরকারি বই বিক্রি!

গাইবান্ধা: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে একটি ভাঙারির দোকান থেকে ৪২৭টি সরকারি বই জব্দ করেছেন স্থানীয় জনতা। এ ঘটনায় জড়িত হরিরামপুর বালিকা বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী উত্তম কুমার ও জুনিয়র শিক্ষক চামেলি বেগমকে অবরুদ্ধ করে রাখেন তারা।

রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত ৮টার দিকে উপজেলার হরিরামপুর বাজারের শাহজাহান শেখের ভাঙারির দোকানে বইগুলো পাওয়া যায়। পরে ইউপি সদস্য ফিরোজ কবির ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।

স্থানীয়রা জানান, রোববার সন্ধ্যার পর হরিরামপুর বালিকা বিদ্যালয়ের নৈশ্যপ্রহরী উত্তম কুমার ও জুনিয়র শিক্ষিকা চামেলি বেগম বস্তাভর্তি বিভিন্ন শ্রেণির সরকারি বই নিয়ে আসেন শাহজাহান শেখের ভাঙরির দোকানে। বইগুলো ওজন করার সময় স্থানীয় লোকজন টের পেয়ে উত্তেজিত হয়ে উঠেন। এক পর্যায়ে তারা অভিযুক্ত উত্তম কুমার ও চামেলি বেগমকে অবরুদ্ধ করে ইউপি সদস্যকে খবর দেন। এরপর ইউপি সদস্য ফিরোজ কবির সেখানে গিয়ে তাদের আটকের বিষয়টি শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।

বই বিক্রির কথা স্বীকার করে শিক্ষক চামেলি বেগম বলেন, বিদ্যালয়ের গুদাম পরিষ্কার করে ২০২২ শিক্ষাবর্ষের নতুন বইগুলো বিক্রির জন্য দোকানে নিয়ে যাওয়া হয়। বই বিক্রির টাকায় বিদ্যুৎ বিল ও সাউন্ড বক্স মেরামত করার কথা ছিল।

ইউপি সদস্য ফিরোজ কবির বাংলানিউজকে বলেন, বস্তায় করে ষষ্ঠ থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণির ৪২৭টি সরকারি বই জব্দ করা হয়। বইগুলো বিক্রির সময় আটক করেন স্থানীয়রা। বই বিক্রির সঙ্গে জড়িত দুইজনের বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। এ সময় তিনি ব্যবস্থা না নিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক চামেলি বেগমকে বইগুলো স্কুলে ফেরত নিয়ে যেতে বলেন। এতে স্থানীয়দের মধ্যে আরও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোছা. রোকসানা বেগম জানান, বই বিক্রির ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৩
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।