কক্সবাজার: কক্সবাজারে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরে 'আধিপত্যের জেরে' ৩১ ঘণ্টার ব্যবধানে দুষ্কৃতিকারীদের গুলিতে আরও এক মাঝি (রোহিঙ্গা নেতা) নিহত হয়েছেন।
বুধবার (৮ মার্চ) সকাল ৮টায় উখিয়া উপজেলার লম্বাশিয়া ২-ওয়েস্ট নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের ডি-ব্লকে এ ঘটনা ঘটে।
১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (এডিআইজি) ছৈয়দ হারুনুর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নিহতের নাম ছৈয়দ হোসেন ওরফে কালা বদা (৫২)। তিনি উখিয়ার লম্বাশিয়া ২-ওয়েস্ট রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের ডি-ব্লকের আজিজুর রহমানের ছেলে। তিনি আশ্রয় শিবিরটির ডি-ব্লকের মাঝি (কমিউনিটি নেতা) হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।
স্থানীয়দের বরাতে ছৈয়দ হারুনুর রশিদ বলেন, বুধবার (৮ মার্চ) সকালে উখিয়ার লম্বাশিয়া ২-ওয়েস্ট রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের ডি-ব্লকে নিজ ঘরের পাশে একটি দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন ছৈয়দ হোসেন। এসময় ৭/৮ জন মুখোশধারী তাকে লক্ষ্য করে উপর্যুপুরি গুলি ছোড়ে। এতে ছৈয়দ হোসেন গুলিবিদ্ধ হন। খবর পেয়ে পুলিশ (এপিবিএন) ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ছৈয়দ হোসেনকে উদ্ধার করে কুতুপালং আশ্রয় শিবির সংলগ্ন এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তবে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে সোমবার (৬ মার্চ) দিনগত রাত ১টার দিকে উখিয়ার বালুখালীর ৯ নম্বর শিবিরের সি ব্লকে ওয়াক্কাস রফিক (৪০) নামে এক রোহিঙ্গা নেতাকে (মাঝি) গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। তিনি ৯ নম্বর ক্যাম্পের মাঝি (কমিউনিটি নেতা) ছিলেন।
এডিআইজি বলেন, রোহিঙ্গা শিবিরে কয়েকটি দুষ্কৃতিকারী দল সক্রিয় রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এসব হত্যাকাণ্ড ঘটছে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি আরও বলেন, মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরসার সন্ত্রাসীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
একই সঙ্গে ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলেও জানান ছৈয়দ হারুনুর রশিদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০২৩
এসবি/এনএস