ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কৃষি এখন আমাদের সমৃদ্ধির হাতিয়ার: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫২ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০২৩
কৃষি এখন আমাদের সমৃদ্ধির হাতিয়ার: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

মেহেরপুর: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন বলেছেন, বর্তমান সরকার গত ১৪ বছরে কৃষিখাতে ব্যাপক নজর ও প্রণোদনা দেওয়ার ফলে কৃষি এখন আমাদের সমৃদ্ধির হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশ এখন এগিয়ে যাচ্ছে নিম্ন আয়ের দেশ থেকে উন্নয়ন রাষ্ট্রের দিকে।

বাংলাদেশের এই উন্নয়নের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান কৃষিতে।

শনিবার (১৮ মার্চ) দুপুরে মেহেরপুরের মুজিবনগরে কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্প ও যশোর অঞ্চলের টেকসই কৃষি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় কৃষক সমাবেশ ও তিন দিনব্যাপী কৃষিমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

যশোর অঞ্চলের টেকসই কৃষি সম্প্রসারণ প্রকল্পের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো. আবু হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রাক্তন মহাপরিচালক কৃষিবিদ ড. মোহাম্মদ হামিদুর রহমান।

 অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামিরুল ইসলাম, মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শংকর কুমার মজুমদার, মুজিবনগর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোখলেসুর রহমান, বাগোয়ান ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সরকার কৃষিখাত নিয়ে ব্যাপকভাবে গবেষণা করছে। গবেষণার মধ্য দিয়ে এখন আমাদের দেশে ফসলের নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন হচ্ছে। গবেষণার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ব্যাপক বিনিয়োগ করা হচ্ছে।

অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন আরও বলেন, কৃষিকে মানুষের কাছে আকর্ষণীয়, সাবলিল এবং লাভজনক করার ব্যাপারে সরকার চিন্তা-ভাবনা করছে। হার্ভেস্টিং মেশিন, কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার আমদানি করার ফলে এখন ফসল বোনা, কাটা মাড়াইসহ কৃষি ক্ষেত্রের সব কাজ করা হচ্ছে। সরকার এসব মেশিনগুলো ৭০ পার্সেন্ট ছাড়ে কৃষকদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে।
 
তিনি বলেন, আমরা নতুন নতুন ভ্যারাইটি জাতের ফসল নিয়ে আসছি কৃষিকে লাভজনক করার জন্য। এখন কৃষকরা তাদের ফসলের ন্যায্য মূল্যে তাদের ফসল বিক্রির জন্য রপ্তানি করার কথা ভাবছে। কৃষির ভালো দাম পাওয়া এখন আমাদের মূল কাজ। কৃষি বিপণন সংস্থাগুলো কৃষিপণ্য বিদেশে রপ্তানির জন্য ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। এলাকার কৃষকরা যাতে করে তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্যের দাম পায় সেজন্য, কৃষিপণ্যগুলোর জন্য বিমানবন্দরের পাশে একটি কৃষি ল্যাব স্থাপন করা হচ্ছে।  

অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এক ইঞ্চি জমিও আবাদের বাইরে রাখতে দেব না। কৃষকদের দেশের চাহিদার কথা চিন্তা করলে হবে না। আন্তর্জাতিক চাহিদার কথা চিন্তা করতে হবে।

দেশের খাদ্যশস্য দেশের চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত থাকলে আন্তর্জাতিক বাজারে সেটি রপ্তানি করা হবে উল্লেখ করে প্রধান অতিথি অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশের খাবার অত্যন্ত সুস্বাদু ও পুষ্টিকর হওয়ায় এখন চীন, বাহরাইন, ব্রুনাই ও দুবাই আমাদের দেশ থেকে খাবার নিতে চাচ্ছে। আমাদের দেশের কৃষির সম্ভাবনা তৈরি করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অনুষ্ঠানে মেহেরপুর জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে কৃষক ও কৃষি উদ্যোক্তারা অংশগ্রহণ করেন। তিন দিনব্যাপী কৃষিমেলায় জেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষি উদ্যোক্তা ও জেলা কৃষি বিভাগের ১৪টি স্টল রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০০৫০ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।