মাদারীপুর: মাদারীপুর জেলার শিবচরের পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনার শিকার ইমাদ পরিবহনের বাসটির ফিটনেস সনদ ছিল না। এছাড়া বাসটির রুট পারমিটও স্থগিত ছিল বলে জানা গেছে।
এদিকে ১৯ জন নিহতের ঘটনায় বাস কোম্পানিকে অভিযুক্ত করে শিবচর থানায় মামলা করেছে হাইওয়ে পুলিশ। রোববার (১৯ মার্চ) গভীর রাতে শিবচর হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট জয়ন্ত সরকার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর ৯৮/৯৯/১০৫/১০৬(১) ধারার অপরাধ উল্ল্যেখ করে মামলাটি রুজু করা হয়।
মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম বাংলানিউজকে বলেন, বাস কোম্পানিকে অভিযুক্ত করে হাইওয়ে পুলিশ মামলা করেছে। দুর্ঘটনায় বাসটির চালক, সুপার ভাইজার, সহকারীর মৃত্যু হওয়ায় মামলায় তাদের রাখা হয়ানি। বাসটি একটি কোম্পানির অধিনে পরিচালিত হতো। তাই নির্দিষ্ট কারো বিরুদ্ধে মামলা না করে কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে কার কি দায় সেটা বের করবে। এদিকে দুর্ঘটনা কবলিত বাসটির বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ইমাদ পরিবহনের যে বাসটি দুর্ঘটনা কবলিত হয়েছে সেই বাসের রুট পারমিট স্থগিত ছিল। ছিল না ফিটনেস সার্টিফিকেট। ২০২২ সালের ১৭ নভেম্বর গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুর এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বালুবোঝাই ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দেয় ইমাদ পরিবহনের এই বাসটি। এতে তিন যাত্রী প্রাণ হারান। আহত হয়েছিল আটজন। এরপর ওই গাড়ির কাগজপত্রের অনুমোদন স্থগিত করা হয়। সবশেষ গত ১৮ জানুয়ারি ওই বাসের গাড়ির ফিটনেস সনদের মেয়াদও উত্তীর্ণ হয়। তবে চলাচল নিষেধাজ্ঞা থাকায় মালিকরা বাসের ফিটনেস নবায়ন করেননি।
বিআরটিএ থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালে ভারতের অশোক লেল্যান্ড ব্র্যান্ড এই বাসটি তৈরি করে। নিবন্ধন নেওয়া হয় ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে। নিবন্ধন সনদ অনুযায়ী বাসটি ৪০ আসনের।
শিবচর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু নাঈম মোহাম্মদ মোফাজ্জেল হক বলেন, দুর্ঘটনা কবলিত বাসটির কোনো ফিটনেস সার্টিফিকেট ছিল না। নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। বাসটির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ঠিক ছিল না বলে প্রাথমিকভাবে প্রতিয়মান হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২৩
এফআর