নীলফামারী: নীলফামারীর ডোমার উপজেলার চিলাহাটির ১০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে সুসজ্জিত স্থাপনা, প্রয়োজনীয় আসবাবসহ চিকিৎসার জন্য কিছু সরঞ্জাম থাকলেও, চিকিৎসক ও লোকবলের অভাবে সেবা নেই। ফলে প্রতিদিন প্রয়োজনীয় সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এলাকার শত শত মা ও শিশু।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জন্য একজন এমবিবিএস চিকিৎসকসহ ১৩ জনের জন্য চাহিদাপত্র দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ডেপুটেশনে একজন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, একজন ফার্মাসিস্ট, একজন নারী পরিদর্শক ও একজন স্থায়ী নারী পরিদর্শক দিয়েই চলছে কেন্দ্রটি।
জানা যায়, সপ্তাহে দুদিন করে অস্থায়ী চিকিৎসক ও নারী পরিদর্শকের কেন্দ্রে থাকার নিয়ম থাকলেও নানা অজুহাতে বেশিরভাগ সময় তারা অনুপস্থিত থাকেন। ফলে দূর-দূরান্ত থেকে আসা গর্ভবতী মা ও শিশুরা পড়েন চরম দুর্ভোগে। তাছাড়া কেন্দ্রটির কক্ষগুলো থাকে সার্বক্ষণিক থাকে তালাবদ্ধ। এমনকি মায়েদের জন্য বসার জয়গা ও টয়লেটেও তালা লাগানো থাকে। ওষুধপথ্য তো নেই বললেই চলে।
এ বিষয়ে জেলা পরিবার পরিকল্পনা দফতরের উপ-পরিচালক মো. মোজাম্মেল হক বলেন, আমরা এরই মধ্যে অধিদফতর ও মন্ত্রণালয়ে পদায়নের জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা নিয়েছি। দ্রুত সময়ে চিকিৎসক নেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে। সেটা হলেই হয়তো আমরা চিকিৎসক পেয়ে যাব।
জানা গেছে, ডোমার শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে চিলাহাটিতে গর্ভবতী মা ও শিশুদের চিকিৎসাসেবা সহজতর করতে সরকারিভাবে নির্মিত হয় এই ১০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটি। আধুনিক মানের অবকাঠামোসহ আসবাব ও চিকিৎসা সরঞ্জাম নিয়ে ২০২২ সাল থেকে ডেপুটেশনে তিন জনকে দিয়ে কার্যক্রম শুরু হয়। ফলে ১৫ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে সরকারি-বেসরকারি ভালো চিকিৎসাসেবা কেন্দ্র না থাকায় এ এলাকার লাখো নারী-শিশুর চিকিৎসাসেবা পাওয়ার ভরসাস্থলে পরিণত হয় কেন্দ্রটি।
কিন্তু বর্তমানে কেন্দ্রটি তাদের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, জেলায় তিনটি ১০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র নির্মাণের কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত শেষ হয়েছে দুটির কাজ।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২৩
এনএস