সাভার (ঢাকা): রানা প্লাজা ধসের ১০ বছর আজ। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন রানা প্লাজা (১০ তলা ভবন) ধসে নিহত হন এক হাজার ১৩৬ জন।
প্রতি বছর নিহতদের স্মরণে ধসে পড়া রানা প্লাজা স্থলে জড়ো হন নিহত শ্রমিকদের স্বজনরা, আহত শ্রমিক, বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতা কর্মীরা। এদিন শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে বিভিন্ন দাবি তোলেন তারা।
সোমবার (২৪ এপ্রিল) সকাল থেকে প্লাজার সামনে অবস্থিত অস্থায়ী বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে সভা-সমাবেশ করেন তারা। মূলত এ বছর ৭দফা দাবিতে কর্মসূচি পালন করছেন বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতা কর্মীরা।
দাবিগুলো হচ্ছে-সকল দোষীদের পরিচয় জনগণের সামনে এনে ভবন মালিক সোহেল রানাসহ সকল দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি, রানা প্লাজার নিহত শ্রমিকের প্রতিনিধি ৪০ লাখ পোশাক শ্রমিকের জন্য অবিলম্বে মজুরি বোর্ড ও ২৫ হাজার টাকা মজুরি করা। মজুরি বৃদ্ধির আগ পর্যন্ত ৬০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দান, ক্ষতিপূরণের আইন বদল করে এক জীবনের ক্ষতিপূরণ, আহত শ্রমিকদের সুচিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় পুনর্বাসন, রানা প্লাজা এলাকা যথাযথ সংরক্ষণ ও স্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি, সকল শ্রমিকদের জন্য মালিক-সরকার ও বায়ারের উদ্যোগে জরুরি তহবিল গঠন এবং ২৪ এপ্রিল শোক ও নিরাপত্তা দিবস হিসেবে সকল কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা।
রানা প্লাজায় আহত শ্রমিক বুলবুলি আক্তার বলেন, রানা প্লাজা ধসে আমি পঙ্গু হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি। নামমাত্র অনুদান ছাড়া আমি ক্ষতিপূরণ পাইনি, বিচারও পাইনি। আমাদের কোনো দাবিই পূরণ হয়নি। আমরা ক্ষতিপূরণ ও দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।
গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান তাসলিমা আক্তার বলেন, রানা প্লাজা ধসের পর থেকেই আমরা বিভিন্ন দাবি তুলেছি। এই ১০ বছরে আমাদের দাবিগুলো পূরণ হলো না। ১০ বছর পরে এসেও আমরা একই দাবি জানাচ্ছি। আমরা আশা করি, আগামী বছর আর এসব দাবি নিয়ে আমাদের রাস্তায় দাঁড়াতে হবে না। তার আগেই সবগুলো দাবি পূরণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২৩
এসএফ/এসআইএস