ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ফরিদপুরে জোবায়দা করিম জুট মিলে অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৪ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২৩
ফরিদপুরে জোবায়দা করিম জুট মিলে অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

ফরিদপুর: ফরিদপুরের বাখুন্ডায় জোবায়দা করিম জুট মিলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিলের চারটি শেড পুড়ে মালামালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

মিলের মোট চারটি শেডে পাট প্রক্রিয়াজাতকরণসহ সুতা ও চটজাত পণ্য উৎপাদন করা হয়।

রোববার (১৪ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে জুট মিলের দক্ষিণ-পশ্চিম কোনের এক নম্বর শেড থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে জেলার বিভিন্ন উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিটের কর্মীরা। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ে কাজ করছেন তারা।

প্রত্যক্ষদর্শী জুট মিলের শ্রমিক ফজলু মিয়া (৫০) বলেন, মিলের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে পাট প্রক্রিয়াকরণের প্রথম শেড থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এরপর একে একে সবকটি শেডে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে প্রথমে ফরিদপুর ও পরে আশেপাশের অন্যান্য উপজেলা থেকে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিটের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।

ফরিদপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল আহসান তালুকদার, পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শাহজাহান, জুট মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহাঙ্গীর মিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. আসাদুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, আগুন নেভাতে আমাদের ছয়টি ইউনিট কাজ করছে। প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনো মিলের শেডগুলোর বিভিন্ন স্থান থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা গেছে।

তিনি বলেন, পুরো আগুন নেভানোর পরে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা হবে।

ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ের পর এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, জোবায়দা করিম জুট মিলে কয়েক হাজার শ্রমিক কাজ করেন। অগ্নিকাণ্ডের পর প্রতিষ্ঠানটি কীভাবে পুনরায় সচল করা যাবে সেটিই এখন ভাবনার বিষয়।

এদিকে জুট মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহাঙ্গীর মিয়া এ অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।  

বাংলাদেশ সময়: ২০০৩ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২৩
আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।