ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পরকীয়ার জেরে খুন হওয়া লেবু শ্রমিক চাম্পালালের ঘাতক গ্রেপ্তার

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৬ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০২৩
পরকীয়ার জেরে খুন হওয়া লেবু শ্রমিক চাম্পালালের ঘাতক গ্রেপ্তার

মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় পরকীয়ার জেরে সম্প্রতি খুন হয়েছেন লেবু বাগানের নৈশপ্রহরী চাম্পালাল মুন্ডা (৩৭)। সোমবার (১৫ মে) এ হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি বিশ্বনাথ তাঁতীকে (৪৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্র জানায়, ভিকটিম মৃত চাম্পালাল মুন্ডা (৩৭), পিতা-মৃত রামজি মুন্ডা, সাং-পদ্মছড়া চা বাগান, থানা-কমলগঞ্জ, জেলা-মৌলভীবাজার প্রায় তিন বছর যাবৎ ডলুছড়ায় জনক দেববর্মার লেবু বাগানে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেতেন। একই বাগানে গত ২ মাস ধরে আসামি বিশ্বনাথ তাঁতী (৪৫) কাজ ও বাক-প্রতিবন্ধী স্ত্রীসহ ভিতরের একটি ঘরে বসবাস করে আসছেন।

ভিকটিম চাম্পালাল মুন্ডা নিয়মিতভাবে ভোর বেলা বাগানের লেবু ঠেলাগাড়িতে করে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে শ্রীমঙ্গল বাজারে নিয়ে যেতেন। কিন্তু রোববার (১৪ মে) ভোর বেলা ভিকটিম চাম্পালাল মুন্ডা বাজারে না আসায় মামলার ২নং সাক্ষী জয় কুমার দেববর্মা চাম্পালাল তার মোবাইলে ফোন দেন। ভিকটিম চাম্পালাল মুন্ডা ফোন রিসিভ না করায় মালিক জনক দেববর্মাসহ অন্যান্যরা বাগানের বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করেন। তারা রোববার সকালে লেবু বাগানের ভিতরে মাটির রাস্তায় গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় চাম্পালাল মুন্ডাকে পড়ে থাকতে দেখেন।

তাৎক্ষণিক বাগানমালিক জনক দেববর্মাসহ তার লোকজন তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার ৮টা ১০ মিনিটে তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ ঘটনার রহস্য উদঘাটনে কাজ শুরু করে। পরে বিশ্বনাথ তাঁতীর বসত বাড়ির উঠানের বিভিন্ন জায়গায় রক্তের দাগ এবং সামনের রাস্তায়ও রক্তের দাগ দেখতে পান। এ কারণে বিশ্বনাথ তাঁতীকে সন্দেহ হলে তথ্যপ্রযুক্তি এবং স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় কমলগঞ্জ থানাধীন পাত্রখোলা চা বাগানের ভারতীয় সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিশ্বনাথ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. শহীদুল হক মুন্সী বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার বিশ্বনাথ তাঁতী জানিয়েছেন, গত শনিবার (১৩ মে) রাত ১১ টার দিকে চাম্পালাল মুন্ডাকে নিজের (বিশ্বনাথ তাঁতী) স্ত্রীর পাশে ঘুমানো অবস্থায় দেখতে পেয়ে প্রচণ্ড রেগে যান। এ সময় তিনি লাঠি দিয়ে চাম্পালাল মুন্ডার কপাল ও পিঠে একাধিক আঘাত করেন। এতে  চাম্পালাল মুন্ডা গুরুতর জখম হন। পরে তাকে গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় লেবু বাগানের ভিতরের মাটির রাস্তায় ফেলে যান। এছাড়া ঘটনার পর নিজের বাক-প্রতিবন্ধী স্ত্রীকেও ঘরে রেখে পালিয়ে যান বিশ্বনাথ তাঁতী।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০২৩
বিবিবি/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।