ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

দ. এশিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী জঙ্গি সংগঠন গড়তে চেয়েছিলেন মাহমুদ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০২৩
দ. এশিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী জঙ্গি সংগঠন গড়তে চেয়েছিলেন মাহমুদ

ঢাকা: দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী জঙ্গি সংগঠন গড়তে চেয়েছিলেন নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র আমির মো. আনিসুর রহমান ওরফে মাহমুদ।

দেশের বাইরে হামলার কোনো পরিকল্পনা না থাকলেও দেশের মধ্যে হামলার পরিকল্পনা ছিল জঙ্গি সংগঠনটির।

তাদের টার্গেট ছিল কিলিং মিশনেরও। শারক্বীয়ার সদস্যদের আইনের আওতায় আনতে গেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর সশস্ত্র হামলার পরিকল্পনা করছিলেন আমির মাহমুদ।

সোমবার (২৪ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।  

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, সংগঠনের ৭-৮ জন সদস্যকে টার্গেট কিলিংয়ের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয় হয়। কিলিং মিশনের মাধ্যমে জানান দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপরে হামলা চালানোর টার্গেট ছিলো এই সংগঠনের।

চাকরিচ্যুত মেজর জিয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ২০২০ সালে সংগঠন তৈরির প্রথম দিক থেকেই কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশ্যে পাহাড়ে জিয়ার আনাগোনা ছিল। সেই জায়গা থেকে জিয়া এই সংগঠনের সঙ্গে বেশ কয়েকবার বসেছেন। ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে সংগঠনটির নেতাদের সঙ্গে তিনি দেখা করেন।

আমির ও তার দুই দেহরক্ষী এর আগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন কি না-  সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে র‍্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তারের পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তেমন সময় পাওয়া যায়নি। তবে যতটুক পাওয়া গেছে, তার মধ্যে আমিরসহ বাকি দুজনের গ্রেপ্তারের বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। অনেক ক্ষেত্রে বিভিন্ন ছদ্মনামে তারা সংগঠন পরিচালনা করেন। এক্ষেত্রে তাদের বিষয়ে সঠিক তথ্য পেতে আমাদের সময় লাগে।  

খন্দকার আল মঈন বলেন, মুন্সীগঞ্জের যে বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সেখানে বোমা তৈরির বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম পাওয়া গেছে। এ ছাড়া তার কাছে যে অস্ত্র ছিল, সেটি তিনি নিজের আত্মরক্ষার জন্য ব্যবহার করতেন। তাদের প্রশিক্ষণের বিভিন্ন কৌশল দেখেন মনে হচ্ছে, বিভিন্ন ধরনের নাশকতার মাধ্যমে সংগঠনের বিষয়ে তারা জানান দিতে চেয়েছিলেন।  

সংগঠনটির অস্ত্রের যোগান কোথা থেকে আসত- জানতে চাইলে খন্দকার আল মঈন বলেন, পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী উগ্রবাদী সংগঠন কেএনএফ এই সংগঠনকে প্রশিক্ষণ ও অস্ত্রের যোগান দিত। এখন পর্যন্ত কেএনএফ ছাড়া বাইরের কারো সঙ্গে কোনো যোগাযোগ এই সংগঠনের ছিল না। এ ছাড়া দেশের বাইরে এই সংগঠনের কোনো কার্যক্রম নেই। নাথান বমের সঙ্গে প্রথম থেকে যোগাযোগ ছিল। ভারতের মিজোরামে অবস্থান করা নাথান বমের সঙ্গে এখনও যোগাযোগ করে সংগঠনটি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০২৩
এসজেএ/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।