পটুয়াখালী: বাউফল উপজেলায় অবস্থিত কালিশুরী নিউ লাইফ কেয়ার ক্লিনিকের পরিচালক তুহিন। এক বছর আগে তিনি প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন ক্লিনিকের স্টাফ নার্স শিমলার (২৫) সঙ্গে।
তুহিন উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বড়ডালিমা গ্রামের মো. ইদ্রিস গোলদারের ছেলে। শুক্রবার (৪ আগস্ট) সকাল থেকে প্রেমিকের বাড়ির সামনে অনশন শুরু করেন শিমলা। এর পরপরই তুহিন ও তার পরিবারের লোকজন বাড়িতে তালা দিয়ে আত্মগোপন করেছেন।
শিমলার কাছ থেকে জানা গেছে, ক্লিনিকের কাজের পরিচয়ের সূত্র ধরে তুহিনের সঙ্গে তার মন দেওয়া নেওয়া হয়। নিজেদের তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিতেন। মাঝে মাঝে ক্লিনিকেই দুজন একান্ত সময় কাটাতেন। আবার তুহিন তার বাড়িতেও তাকে নিয়ে আসতেন। বিয়ের আশ্বাসে সরল বিশ্বাসে তুহিনের কথায় তার শারীরিক সঙ্গীও হয়েছেন তিনি। ডায়াগনস্টিক ব্যবসা শুরু করতে তার কাছ থেকে ৩ লাখ টাকাও নেন তুহিন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়ও তুহিন শিমলাকে নিজের ঘরে নিয়ে আসেন। একান্তে সময় কাটানোর সময় তাদের দেখে ফেলে তুহিনের পরিবার। এরপরই তুহিন বেঁকে বসেন। মারধর করে শিমলাকে বাসা থেকে বের করে দেন। শুক্রবার ফিরে এসে তার বাড়ির সামনে অনশনে বসেন শিমলা।
দুই মাস আগেও একবার বিয়ের দাবিতে তুহিনের বাড়ির সামনে অনশন করেন শিমলা। আলোচনা করে বিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলে তাকে আশ্বাস দেন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। এখন তুহিন ও তার পরিবার পালিয়ে থাকায় কোনো আশা দেখছেন না শিমলা। তাই তুহিনকে বিয়ে করতে না পারলে আত্মহত্যা করবেন বলে হুমকি দিয়েছেন।
এ ঘটনায় তুহিন বা তার পরিবারের কাউকে না পাওয়ায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
বাউফল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মিজানুর রহমানের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা হলে তিনি জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৪, ২০২৩
এমজে