ফেনী: ফেনী সদর উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কথা বলে এক ভিক্ষুককে ইটভাটায় ডেকে নিয়ে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করেছে কয়েকজন শ্রমিক। এ ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ফেনী আদালতের কোর্ট পরিদর্শক মোহাম্মদ রশীদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে লেমুয়া বাজারে ভিক্ষা করছিলেন এক নারী। তখন মেহেরাজ নামে এক যুবক তাকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কথা বলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন ছনুয়া ইউনিয়নের এবিএম ব্রিক ফিল্ডে নিয়ে যায়। সেখানে শ্রমিকদের থাকার কক্ষে মেহরাজ তাকে ধর্ষণ করে। এরপর পালাক্রমে সমির, দেলোয়ার হোসেন, তারেক, রমজান আলী, বাবু, রিদনসহ কয়েকজন ওই নারীকে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে তাকে বাসে উঠিয়ে দেওয়ার জন্য মহাসড়কে নিয়ে গেলে ওই নারীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হয়।
সূত্র আরও জানায়, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাৎক্ষণিক সমির, দেলোয়ার হোসেন, তারেক, রমজান আলী, বাবুকে গ্রেপ্তার করে। তবে এ সময় মেহরাজ, রিদন এবং সালাউদ্দিন কৌশলে পালিয়ে যায়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ওই নারীর ১০ বছরের এক ছেলে সন্তান রয়েছে। তার লেখাপড়া ও সংসারের খরচ চালানোর জন্য প্রতিদিন বিভিন্নস্থানে ভিক্ষা করেন তিনি।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২৩
এসএইচডি/এএটি