ঢাকা: পদ্মা সেতু ও ঢাকা-ভাঙ্গা বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ে পারাপারে ইলেক্ট্রনিক টোল কালেকশন সিস্টেম (ইটিসি) পদ্ধতি চালু করলেও ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চলছে সনাতন পদ্ধতিতে।
পদ্মা সেতু ও ঢাকা-ভাঙ্গার বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ে'তে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে পদ্মা সেতু এলাকায় ইটিসি পদ্ধতিতে টোল ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতা দিচ্ছে কোরিয়ান এক্সপ্রেসওয়ে কর্পোরেশন (কেইসি)।
বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকার কাওলা টোল প্রান্তে এ দৃশ্য দেখা গেছে।
প্রথম দুই দিনের তুলনায় তৃতীয় দিনে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে'তে বেড়েছে গাড়ির চাপ। ব্যক্তিগত গাড়িগুলো এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করায় নিচের সড়কগুলোতে গাড়ির চাপ অন্যদিনের তুলনায় কম ছিল বলে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতার।
যেটি রোববারের চেয়ে অনেক বেশি। রোববার একইসময়ে অর্থাৎ সকাল ছয়টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ১৪ ঘণ্টায় মোট গাড়ি চলেছিলো ১৪ হাজার ৭২৭টি।
তিনি জানান, মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় গাড়ি চলাচল করেছে ৩০ হাজার ৯১৯টি। এতে টোল আদায় হয়েছে ২৫ লাখ ৬ হাজার ৮০০ টাকা।
এর মধ্যে বিমানবন্দর থেকে বনানী, মহাখালী ও ফার্মগেট গিয়েছে ১৫ হাজার ৬৯০ টি গাড়ি। কুড়িল থেকে বনানী ও মহাখালী গিয়েছে ৩ হাজার ৬১৯ টি গাড়ি।
বিপরীতে বনানী থেকে কুড়িল গিয়েছে ২ হাজার ৮৯৮ টি গাড়ি। তেজগাঁও থেকে মহাখালী, কুড়িল, বনানী ও বিমানবন্দর গিয়েছে ৮ হাজার ৭১২ টি গাড়ি।
এ রাস্তায় চলাচলকারীরা বলছেন, অধিকাংশ গাড়ি উঠছে বিমানবন্দরের কাওলা র্যাম্প দিয়ে, যা এক্সপ্রেসওয়ে'তে উঠা মোট গাড়ির অর্ধেক। ফলে হাতে টোল নেওয়ার কারণে বেড়েছে গাড়ির দীর্ঘ সারি।
এ প্রসঙ্গে প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতার বলেন, ইটিসি নিয়ে আলোচনা চলছে। এটির লেন কার্যকর করতে হলে একটা অডিট লাগবে। খুব শিগগিরই এটা কার্যকর করা হবে।
পদ্মা সেতু ও বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ে ছাড়াও কর্ণফুলী সেতু, চট্টগ্রাম মেঘনা সেতু, নারায়ণগঞ্জ, গোমতী সেতু, কুমিল্লা, ভৈরব সেতু, নরসিংদী, পায়রা সেতু, পটুয়াখালী, খান জাহান আলী (রূপসা) সেতু, খুলনা, চরসিন্দুর সেতু, নরসিংদী শহীদ ময়েজ উদ্দিন সেতু, নরসিংদী, আত্রাই টোল প্লাজা, নাটোর, লালন শাহ সেতু, পাবনা চালু আছে ইটিসি।
পদ্মা সেতুতে ইটিসি চালুর সময়ে কেইসির কর্মকর্তারা জানান, ইটিসি পদ্ধতি চালুর লক্ষ্যে গাড়িতে একটি করে সেন্সর কার্ড লাগানো হয়ে থাকে। সেতু বা এক্সপ্রেসওয়ে পারাপারের সময় টোল আদায়ের বুথে থাকা সেন্সর মেশিনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টোল পরিশোধ হয়ে যায়। ফলে ম্যানুয়ালি টোল পরিশোধের মতো সময় লাগে না। উদ্যোগ নিলে ভবিষ্যতে সারা বাংলাদেশই একটি কার্ডের মাধ্যমেই এই টোল পরিশোধ করা সম্ভব হতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে'র একাংশ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
চালু হওয়া অংশে উঠা নামার জন্য মোট ১৫ টি র্যাম্প আছে। এর মধ্যে এয়ারপোর্ট দুইটি, কুড়িল তিনটি, বনানী চারটি, মহাখালী তিনটি, বিজয় স্বরণী দুইটি ও ফার্মগেট একটি। আজ থেকে ১৩ টি র্যাম্প যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।
২০১১ সালের ১৯ জানুয়ারি এ প্রকল্পের প্রথম চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়। এই প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০১১ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৩
এনবি/জেএইচ