ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ বৈশাখ ১৪৩২, ০৮ মে ২০২৫, ১০ জিলকদ ১৪৪৬

জাতীয়

যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী নির্যাতন, বরগুনায় কারারক্ষী হাজতে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:৪৮, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৩
যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী নির্যাতন, বরগুনায় কারারক্ষী হাজতে

বরগুনা: যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে নির্যাতন করার অভিযোগে স্বামী সজিবকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল।  

রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) ওই ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও জেলা জজ মো. মশিউর রহমান খান জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে এ আদেশ দিয়েছেন।

সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর মোস্তাফিজুর রহমান।

সজিব পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার বাজিতা গ্রামের আবুল কালামের ছেলে। বরগুনা জেলা কারাগারে কারারক্ষী হিসেবে কর্মরত তিনি।  

জানা যায়, সজিবের স্ত্রী মুক্তা ইসলাম ওই ট্রাইব্যুনালে বাদী হয়ে এ বছরের ৬ মার্চ অভিযোগ করেন, সজিবের সঙ্গে বাদী মুক্তার প্রেমের সম্পর্ক হলে সজিব তাকে ২০২২ সালের ৮ ডিসেম্বর বিয়ে করেন। বরগুনা কারাগারে চাকরির সুবাদে বরগুনার উপকণ্ঠে মনসাতলী বাসাভাড়া নিয়ে তারা সেখানে বসবাস করতেন। ওই বাসায় এ বছর ২০ ফেব্রুয়ারি বেলা দেড়টায় সাজিব তার স্ত্রীর নিকট পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। পরে মুক্তা ইসলাম যৌতুক দিতে অস্বীকার করলে সজিব উত্তেজিত হয়ে তার স্ত্রীকে মারধর করে।  

মুক্তা ইসলাম মামলা করার পরে বরগুনা সমাজসেবা কর্মকর্তা বাদীর পক্ষে তদন্ত প্রতিবেদন ওই ট্রাইব্যুনালে দাখিল করেন।

বাদী বলেন, সজিব আমাকে ভালোবাসার ফাঁদে ফেলে শারীরিক সম্পর্ক করে আমাকে বিয়ে করেছে। আবার পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে নির্যাতন করেন।

আসামি সজিব কোর্ট বারান্দায় বলেন, মুক্তা আমাকে ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেছে। আমি মুক্তাকে তালাক দিয়েছি। তালাক দেওয়ার পরে মুক্তা মামলা করেছেন।

তিনি আরও বলেন, মুক্তা আমার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা ধর্ষণ মামলাও করেছে। সেই মামলায় আমি জামিনে আছি। মুক্তার বাড়ি বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলায়। বরগুনায় নির্যাতনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। সে আমার তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।