ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

চট্টগ্রামে জ্বালানি ও ভোজ্যতেল টার্মিনাল নির্মাণ করবে সরকার 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৩
চট্টগ্রামে জ্বালানি ও ভোজ্যতেল টার্মিনাল নির্মাণ করবে সরকার 

ঢাকা: গ্যাস ও জ্বালানি তেলের আমদানি, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও স্টোরেজ ক্যাপাসিটি বৃদ্ধির লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের অধীন বে-টার্মিনাল এলাকায় তেল ও গ্যাস টার্মিনাল নির্মাণ করবে সরকার। এ টার্মিনাল দেশে আপদকালীন জ্বালানি তেলের সংকট মোকাবেলায় গ্যাস ও জ্বালানির স্টোরেজ ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি এবং তরল জ্বালানি ও ভোজ্য তেল সাশ্রয়ী মূল্যে নিশ্চত করতে সহায়ক হবে।

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘তেল ও গ্যাস টার্মিনাল’ নির্মাণ সংক্রান্ত এক বৈঠকে এসব তথ্য জানানো হয়।

চট্টগ্রাম বন্দর এলাকায় ‘তেল ও গ্যাস টার্মিনাল’ স্থাপনের জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও ইস্ট কোস্ট গ্রুপের সাথে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে।  

এই এমওইউ'র আলোকে বন্দরের বে-টার্মিনাল এলাকায় সংরক্ষিত জমি থেকে ‘তেল ও গ্যাস টার্মিনালের’ জন্য দুইশ একর জমিতে রেফ্রিজারেটেড এলপিজি টার্মিনাল, ল্যান্ড বেইজড এলপিজি টার্মিনাল, পেট্রোকেমিক্যাল প্রসেসিং টার্মিনাল, পেট্রোলিয়াম প্রোডাক্ট স্টোরেজ টার্মিনাল, ভেজিটেবল অয়েল টার্মিনাল স্থাপনের জন্য কারিগরি সম্ভাব্যতা ও বাজার চাহিদা বিশ্লেষণ করে একটি প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়েছে। উক্ত প্রকল্প বাস্তবায়নে বেশি-বিদেশি বিনিয়োগসহ মোট বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ৩.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা ‘তেল ও গ্যাস টার্মিনাল’ নির্মাণে পজিটিভ আছি। দেশের সার্বিক অর্থনীতির কথা চিন্তা করে দ্রুত এ টার্মিনাল নির্মাণ করা উচিৎ। এটি নির্মিত হলে অন্যান্য বন্দরগুলোও সুফল পাবে। তেল ও গ্যাস টার্মিনাল নির্মাণে দ্রুত কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে তিনি চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম সোহায়েল, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল গোলাম সাদেক, মোংলা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মীর এরশাদ আলী, ইস্ট কোস্ট গ্রুপ কোম্পানির চেয়ারম্যান আজম জে চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, দেশে গ্যাস ও জ্বালানি তেলের চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেলেও গ্যাস ও জ্বালানি স্টোরেজ ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি পায়নি। কক্সবাজারের মহেষখালী এলাকায় স্টোরেজ স্থাপনের ফলে তেল ও গ্যাস মজুদের সক্ষমতা সামান্য বেড়েছে। কিন্তু চট্টগ্রাম বন্দর এলাকায় স্টোরেজ ক্যাপাসিটি ১৯৫০ সালের পর তেমন একটা বৃদ্ধি পায়নি।

বাংলাদেশ সময় : ১৭৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪,২০২৩

জিসিজি/ এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।