রাজশাহী: রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে সাজাপ্রাপ্ত এক আসামির মৃত্যু হয়েছে। তার নাম আবুল কালাম আজাদ (৬৫)।
শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়। তিনি ১৯৯৪ সালে পাবনার ঈশ্বরদী রেলস্টেশনে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনে গুলিবর্ষণ, বোমা নিক্ষেপ ও হামলা মামলার রায়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি।
শনিবার রাতে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. নিজাম উদ্দিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কয়েদি আবুল কালাম আজাদের কিডনি, ডায়াবেটিসসহ শারীরিক নানা সমস্যা ছিল। এসব সমস্যা নিয়ে তিনি এক বছরেরও বেশি সময় ধরে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
আজ শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে আবুল কালাম আজাদ হঠাৎ আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়। মৃতের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ বর্তমানে রামেক হাসপাতালের মরচুয়ারিতে রাখা হয়েছে। আগামীকাল রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে তার মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হবে।
এরপর আইনি প্রক্রিয়া শেষে তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান, কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার।
আবুল কালাম আজাদ পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি পাকশীর যুক্তিতলা গ্রামের মৃত জয়েন উদ্দিনের ছেলে।
১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ঈশ্বরদী রেলস্টেশনে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনে গুলিবর্ষণ, বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এতে রেলওয়ে থানায় মামলা হয়। দীর্ঘ ২৫ বছর পর ২০১৯ সালের ৩ জুলাই এই মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে পাবনার অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ রুস্তম আলী ২৫ জনের যাবজ্জীবন, ১৩ জনের ১০ বছর কারাদণ্ড এবং ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। এর মধ্যে বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদকে যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময় : ২২১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৩
এসএস/এমএম