ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রোগী সেজে মাসে ৪-৫ বার যেতেন ভারতে, ফিরতেন মাদক নিয়ে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৩
রোগী সেজে মাসে ৪-৫ বার যেতেন ভারতে, ফিরতেন মাদক নিয়ে

ঢাকা: মাদক চোরাচালানকারী একটি চক্রের সদস্যরা রোগী সেজে যেতেন ভারতে। ফেরার সময় ফিরতেন বিপুল পরিমাণ মাদক ও অবৈধ পণ্য নিয়ে।

চক্রটির বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)।

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের গ্রিন চ্যানেল এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ টাপেন্টাডল নামের মাদকসহ ওই চক্রের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তাররা হলেন চক্রের হোতা সোলাইমান, হৃদয় ইসলাম রাজু, এ কে এম আবু সাইদ, আশীক সাইফ ও মো. ফারুক। বিমানবন্দরের গ্রিন চ্যানেল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এ সময় তাদের সঙ্গে আনা লাগেজ থেকে ৪২ হাজার ২০০ পিস টাপেন্টাডল নামে নিষিদ্ধ মাদক উদ্ধার হয়।

ডিএনসি জানায়, চক্রটি তাদের একজন সদস্যকে রোগী সাজিয়ে ভারতে নিয়ে যেতো। এরপর তাদের সদস্যরা সেখান থেকে বিমানে করে বিপুল পরিমাণ মাদক নিয়ে দেশে ফিরে আসতেন। প্রতি মাসে তারা অন্তত চার-পাঁচবার এভাবে যাতায়াত করতেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় ডিএনসি মেট্রো উত্তর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএনসির ঢাকা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মজিবুর রহমান পাটওয়ারী।  

তিনি বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল, একটি চক্র পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে ফেনসিডিল ও টাপেন্টাডলের বড় চালান এনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দিচ্ছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে কাজ শুরু করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।

তিনি আরও বলেন, চক্রের হোতা সোলাইমান প্রতি মাসে চার থেকে পাঁচবার ভারতের কলকাতায় যাতায়াত করতেন। এরপর বিভিন্ন পণ্যের আড়ালে টাপেন্টাডলসহ অন্যান্য অবৈধ মাদক দেশে নিয়ে আসতেন। এ কাজে তিনি চক্রের একাধিক সদস্যকে ব্যবহার করতেন। গত আগস্ট মাসে এ চক্রের একজন সদস্যকে ফেনসিডিলসহ বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হয়।  

মুজিবুর রহমান বলেন, চক্রের সদস্যরা মূলত দেশের সীমান্ত এলাকা হয়ে সড়কপথে চিকিৎসার কথা বলে ভারতে যেতেন। এরপর কয়েকদিন অবস্থান শেষে বিপুল পরিমাণ মাদক ও অবৈধ বিভিন্ন পণ্য নিয়ে বিমানবন্দর দিয়ে দেশে ফিরে আসতেন।

তিনি বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে একটি দল গ্রিন চ্যানেল এলাকায় অবস্থান নেয়। চক্রের সদস্যরা অ্যারাইভাল গেট দিয়ে প্রবেশের সময় সোলাইমান ও সহযোগীদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে। ইমিগ্রেশন শেষ করে ল্যাগেজ বেল্ট থেকে তাদের লাগেজ সংগ্রহ করে কাস্টমস চেকিংয়ের কার্যক্রম শেষ করে।

সেখান থেকে বের হয়ে গ্রিন চ্যানেল পার হওয়ার সময়ে চক্রের পাঁচজনকে লাগেজসহ গ্রেপ্তার করা হয়। পরে সবার ব্যাগ তল্লাশি চালিয়ে ৪২ হাজার ২০০ পিস টাপেন্টাডল উদ্ধার করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৩
পিএম/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।