ঢাকা: ৫৫০ টন ওজনের ১১ হাজার ব্যাগ সিমেন্ট নিয়ে ঢাকা থেকে খুলনা যাচ্ছিল এমভি বালাশুর-৩ নামে একটি লাইটার জাহাজ। পথে বরিশালের উজিরপুর থানাধীন সন্ধ্যা নদীর দোহারিকা ব্রিজের কাছে ডুবন্ত খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে লাইটারটির তলা ফেটে যায়।
তলা ফাটা জাহাজটিতে পানি ঢুকতে শুরু করে। এতে ঘাবড়ে যান জাহাজে থাকা ৬ স্টাফ। তারা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে জানান, পানি সেঁচার মেশিন পাওয়া গেলে ডুবতে থাকা জাহাজটি রক্ষা করা যাবে।
এ তথ্য পাওয়ার পর তৎপর হয়ে ওঠে ৯৯৯ নম্বরে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তারা বিষয়টি উজিরপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনকে জানান। পরে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার তৎপরতায় রক্ষা পান এমভি বালাশুর-৩ লাইটার জাহাজের স্টাফরা।
জানা গেছে, সোমবার (১৬ অক্টোবর) আলমগীর নামে জাহাজের এক স্টাফ জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন। এরপরই মূলত তাদের উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে দায়িত্বশীলরা।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) আনোয়ার সাত্তার বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, সাহায্য চেয়ে আসা কলটি রিসিভ করেছিলেন কলটেকার কনস্টেবল আবদুল্লাহ মনসুর। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে উজিরপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে ঘটনাটি দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জানান। পরবর্তীতে ৯৯৯ ডেসপাচার উপপরিদর্শক (এসআই) জয়ন্ত ঘরামী ও এসআই সালাউদ্দীন সংশ্লিষ্ট সবার সাথে যোগাযোগ করে উদ্ধার তৎপরতার আপডেট নিতে থাকেন।
সংবাদ পেয়ে উজিরপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একটি উদ্ধারকারী দল পানি সেচার পাম্পসহ দুর্ঘটনাস্থলে যায়। পরে জাহাজটি থেকে পানি সেচে সেটিকে নিরাপদে তীরে নিয়ে আসে। এ সময় ৬ নাবিককে উদ্ধার করা হয়।
ইন্সপেক্টর আনোয়ার জানান, জাহাজে থাকা ১১ হাজার ব্যাগ সিমেন্ট থেকে দুইশ ব্যাগ পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। বাকি ব্যাগ অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা গেছে। উদ্ধার অভিযানে উজিরপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সাব অফিসার মাহাবুব আলম নেতৃত্ব দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০২৩
এসজেএ/এমজে