ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

দায়িত্ব নেবেন নতুন মেয়র, চলছে নগর ভবন সংস্কার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২৩
দায়িত্ব নেবেন নতুন মেয়র, চলছে নগর ভবন সংস্কার

বরিশাল: নভেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) দায়িত্ব গ্রহণ করবেন নতুন মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ (খোকন সেরনিয়াবাত) ও তার পরিষদ।  

এনিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা।

বিশেষ করে নগরভবনে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে কারও মুখে প্রশান্তির ছাপ থাকলেও, অনেকেই আবার রয়েছেন শঙ্কায়। তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে নতুন মেয়র দায়িত্ব নেবেন তাই কিছুটা সাজ সাজ রবও বিরাজ করছে। গোটা নগর ভবনের বিভিন্ন স্থান সংস্কার ও ভবনের প্রবেশপথসহ করিডোরগুলোতে রংয়ের কাজ চলছে।

নগর ভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে পুরাতন তিনতলা ভবনটির পেছনের অংশের অনেকগুলো ভিমে ফাটল ধরেছিল, সেই সঙ্গে নিচতলা থেকে তিনতলা পর্যন্ত অনেক জায়গার পলেস্তারা খসে পড়েছিল। ফাটল ধরা ভিমের কাজে এখনও হাত না দিলেও খসে পড়া পলেস্তারার স্থানগুলো কোনো রকম সংস্কার করে রং দিয়ে ঢেকে দেওয়া হচ্ছে। আবার তিনতলার কনফারেন্সরুমও ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছিল তাও সংস্কার করা হচ্ছে। তবে সংস্কার কাজ মূলত করিডোর ও খোলা জায়গাগুলোতে হচ্ছে, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোনো কক্ষের ভেতরের অংশতেই এখনও কাজ শুরু করেনি, সামনে করবে কিনা তাও বলা যাচ্ছে না। যদিও মেয়র ব্যতিত কাউন্সিলরদের কক্ষসহ বেশকিছু কক্ষের ভেতরের আসবাবপত্র বাইরে এনে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক শাখার কর্মকর্তারা বলেন, প্রতিবারই নতুন মেয়র দায়িত্ব নেওয়ার আগে নগর ভবনে কিছুটা সাজসজ্জার কাজ করানো হয়। এরই অংশ হিসেবে এ কাজ চলমান রয়েছে। তবে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা না থাকায় কাজটির অর্থ কোথা থেকে আসছে সে বিষয়ে প্রশাসনিক শাখার কর্মকর্তারা কিছু না জানাতে চাইলেও, তারা বলছেন এ কাজ অগ্রিম করানো হলেও পরবর্তীতে ঠিকাদারকে বিল দেওয়ার নিয়ম রয়েছে।  

এ বিষয়ে সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল মোতালেব বাংলানিউজকে বলেন, গেট মেরামত, রং করাসহ ও ক্ষুদ্র কাজগুলো সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে করানো হচ্ছে। অর্থাৎ এর অর্থ সিটি করপোরেশনই বহন করবে। তবে কত টাকা ব্যয়ে এ সংস্কার করা হচ্ছে সে বিষয়ে তিনি কোনো উত্তর দেননি।

এদিকে নগর ভবনের সভাকক্ষসহ বেশ কিছু জায়গার জরাজীর্ণ অবস্থার ছবি সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও ছড়িয়ে পড়লে, তা নিয়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনাও চলছে। সেই সঙ্গে প্রয়াত মেয়র শওকত হোসেন হিরণ ও আহসান হাবিব কামালের সময় ব্যবহৃত সাদা রংয়ের গাড়িটি এখনও পর্যন্ত অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তবে সেটি সচল রয়েছে কিনা তা কেউ জানাতে পারেনি। নিয়মানুযায়ী দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে মেয়রের জন্য করপোরেশনের বরাদ্দকৃত গাড়িটি ব্যবহার করার কথা থাকলেও তা নিয়েও রয়েছে শঙ্কা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২৩
এমএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।