ঢাকা: দেশে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হলে রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রয়োজন। একই সঙ্গে দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য প্রকৃত রাজনীতিবিদদের ভূমিকা রাখতে হবে বলে মনে করেন বিশিষ্টজনেরা।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর আয়োজনে ‘সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনের পরিবেশ: প্রত্যাশা, বাস্তবতা ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভায় তারা এ কথা বলেন।
আলোচনায় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম শাখাওয়াত হোসেন বলেন, গত দুই নির্বাচনে সাধারণ মানুষ যে কথা বলতো না, এবার সাধারণ মানুষও সে কথা বলছে—‘স্যার, গত দুই বার ভোট দিতে পারি নাই, এবার কী হবে?’ তারাই বলছে—‘ভোটকেন্দ্রে ঢোকা যায় না, ইন্টারনেট বন্ধ, যাবো কী করে!’
তিনি আরও বলেন, উন্নতি হচ্ছে তাতে কোনো সন্দেহ নাই, তবে এগুলো আগামী বছর থেকে বোঝা যাবে। কিন্তু আমাদের হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই। যে দলের ক্ষমতা আছে প্রতিযোগিতা করার, সে দল নির্বাচনে না এলে তা সুষ্ঠু হবে না। অতীতের দুই নির্বাচন যেভাবে হয়েছে, এবারও সেরকম হবে কি না, জানি না। তবে এবার ভালো হওয়া উচিত এবং আমরা আশা রাখি ভালো হবে।
বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি মানুষ আস্থা হারাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. রোবায়েত ফেরদৌস।
সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক একটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের যথাযথ পরিবেশ সৃষ্টি করা নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব। এই নির্বাচনের পর বাংলাদেশে গণতন্ত্র শক্তিশালী ও কার্যকর হবে কি না, তা এখন ভাবনার বিষয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২৩
এইচএমএস/এমজেএফ