ঢাকা: ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. আব্দুল মালিকের (অব.) মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) এক বার্তায় তিনি এ শোক প্রকাশ করেন।
বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন ২০২৩ (কপ ২৮) উপলক্ষে বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধিত্ব করতে বর্তমানে দুবাইয়ে অবস্থানরত স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এক শোকবার্তায় বলেন, অধ্যাপক মালিক কেবল বাংলাদেশের চিকিৎসা ক্ষেত্রেই নয়, বরং উপমহাদেশের চিকিৎসা ক্ষেত্রে এক বর্ষীয়ান উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে কাজ করে গেছেন। বাংলাদেশে চিকিৎসা ক্ষেত্রে তার অবদান বলে শেষ করা যাবে না। এরকম মহান ব্যক্তিত্বের মৃত্যুজনিত ক্ষতি কখনই পূরণ হবার নয়। তিনি ছিলেন আমাদের জাতীয় সম্পদ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক মালিকের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে জাতীয় অধ্যাপক ডা. আব্দুল মালিক বার্ধক্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। তিনি তার প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
আব্দুল মালিক ২০০৪ সালে স্বাধীনতা পদক পুরস্কার ও ২০০৬ সালে জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে নির্বাচিত হন।
হৃদরোগ চিকিৎসার এই পথিকৃৎ ১৯২৯ সালের ১ ডিসেম্বর সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কুচাই ইউনিয়নের পশ্চিমভাগ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি ১৯৪৯ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকে ১৯৫৪ সালে নভেম্বর মাসে উত্তীর্ণ হন। ১৯৫৮ সালে তাকে সিএমএইচ (সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল) পেশোয়ারে কর্নেল আজমিরের কাছে মেডিকেল স্পেশালিস্টের যোগ্যতা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এতে প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচিত হন।
১৯৬৩ সালে সরকার তাকে বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য পাঠায়। এরপর ১৯৬৪ সালে তিনি এমআরসিপি পাস করেন এবং হ্যামার স্মিথ হসপিটাল অ্যান্ড পোস্টগ্রাজুয়েট মেডিকেল স্কুল, লন্ডন থেকে কার্ডিওলজিতে উচ্চতর প্রশিক্ষণ নেন।
আব্দুল মালিকের স্ত্রী আশরাফুন্নেসা খাতুন। তিনি দুই ছেলে ও এক মেয়ের জনক। তার মেয়ে ডাক্তার ফজিলাতুন্নেছা মালিক ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউট, ঢাকার কার্ডিলজি বিভাগের অধ্যাপক। তার ছেলে মাসুদ মালিক একজন ব্যবসায়ী ও অপর ছেলে মনজুর মালিক বর্তমানে কানাডায় কর্মরত।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০২৩
আরকেআর/এসআইএ