গাইবান্ধা: গাইবান্ধায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও মোবাইল ব্যবহারের দায়ে ৩৭ জনকে আটক করেছে র্যাব-১৩ গাইবান্ধা ক্যাম্পের সদস্যরা।
এর মধ্যে ৩২ জন পরীক্ষার্থী ও বাকী ৫ জন তাদের সহযোগী।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যব-১৩ গাইবান্ধার ক্যাম্পের ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মাহমুদ বশির আহমেদ।
এর আগে শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে অবৈধ উপায়ে পরীক্ষা দেওয়ার সময় তাদের আটক করা হয়।
তিনি জানান, ক্যাম্পের একটি অভিযানিক দল গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে একটি জালিয়াতি চক্র ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে প্রাইমারি সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে।
পরে সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে অভিযান চালিয়ে জালিয়াতি চক্রের মূলহোতা পাঁচজন ও ৩২ জন পরীক্ষার্থীকে তাদের ব্যবহৃত সংশ্লিষ্ট ইলেকট্রনিক ডিভাইস এবং মোবাইল ফোনসহ পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে হাতেনাতে ধরা হয়।
গ্রেপ্তার পরীক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস এবং মোবাইলের মাধ্যমে সুকৌশলে পরীক্ষা দিয়ে আসছিলেন।
এদের মধ্যে আটক মারুফ, মুন্না, সোহেল, নজরুল ও সোহাগ বিভিন্ন পরীক্ষার্থীকে ১৪-১৮ লাখ টাকায় চাকুরি দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে আসছিলেন।
তাদের মধ্যে সোহেল ডিভাইস সংগ্রহ ও বিতরণ করেন, নজরুল পরীক্ষার্থী সংগ্রহ করতেন এবং মারুফ ও মুন্না বাইরে থেকে প্রশ্নপত্র সমাধান করে পরীক্ষার্থীদের কাছে সরবরাহ করতেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, পরীক্ষার্থীরা জালিয়াতি চক্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় জড়িত জালিয়াতি চক্রের অন্যান্য সদস্যদের খুঁজতে অনুসন্ধান চলছে বলেও জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০২৩
এফআর