ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্র হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভের বাংলাদেশ ককাস সদস্য কংগ্রেসওম্যান গ্রেইস মেং-কে বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচনকালে সংখ্যালঘু নাগরিকদের নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা জানাল সেখানকার হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।
এর জবাবে গ্রেইস মেং বলেন, সংখ্যালঘু নাগরিকদের সুরক্ষার নিশ্চয়তা বিধান করা প্রতিটি সরকারের দায়িত্ব ও কর্তব্য এবং যুক্তরাষ্ট্র এই বিষয়টিকে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে বিবেচনা করে।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের ফ্রেস মিডোজে ঘণ্টাব্যাপী আয়োজিত সভায় এসব কথা আলোচিত হয়।
যুক্তরাষ্ট্র ঐক্য পরিষদের উপদেষ্টা ড. দিলীপ নাথের বাড়িতে আয়োজিত ওই সভায় অধ্যাপক নবেন্দু দত্ত, রূপকুমার ভৌমিক, ডক্টর দিলীপ নাথ, ভজন সরকার, ভবতোষ মিত্র, প্রণবেন্দু চক্রবর্তি, সুশীল সিনহা ও ডক্টর দ্বিজেন ভট্টাচার্য মার্কিন কংগ্রেসওম্যানের কাছে বাংলাদেশে নিরন্তরভাবে চলা সংখ্যালঘু নির্যাতনে ঘটনাগুলো তুলে ধরেন।
এই নির্যাতন কারা করছে, তাদের উদ্দেশ্য কী, এই সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস বন্ধ করতে এ পর্যন্ত কোন সরকারের কী ভূমিকা ছিল, সেসব বিষয়েও কংগ্রেসওম্যানকে বলেন তারা।
সংখ্যালঘু নির্যাতনের নানা দলিলপত্র গ্রেইস মেংয়ের হাতে তুলে দিয়ে তারা আসন্ন ভোটে বাংলাদেশে থাকা সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার ব্যাপারে গভীর আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
কংগ্রেসওম্যান গ্রেইস মেং বলেন, তিনি অন্তরিকভাবে চান যে, বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হোক, যাতে সংখ্যালঘু নাগরিকসহ দেশের সব নাগরিক নিরাপদে অংশগ্রহণ করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, সংখ্যালঘু নাগরিকদের সুরক্ষার নিশ্চয়তা বিধান করা প্রতিটি সরকারের দায়িত্ব ও কর্তব্য এবং যুক্তরাষ্ট্র এই বিষয়টিকে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে বিবেচনা করে। নির্বাচনকালে তো বটেই, সংখ্যালঘু নির্যাতন সমস্যার একটি স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করতে তিনি মার্কিন কংগ্রেসে বাংলাদেশে ককাসের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলেও আশ্বাস দেন।
পরে কংগ্রেসওম্যান গ্রেইস মেং বাংলাদেশ সফরে যাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করলে সভায় উপস্থিত সবাই তাকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও দেশের প্রগতিশীল শক্তিকে সাহায্য করতে অনুরোধ জানান, যাতে বাংলাদেশে ১৯৭২ সালের সংবিধান, অর্থাৎ ধর্ম-নিরপেক্ষ গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২৩
টিআর/এমজেএফ