ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সন্তানকে বিষ দিয়ে হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যার চেষ্টা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২৪
সন্তানকে বিষ দিয়ে হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যার চেষ্টা

বরিশাল: বরিশালের মুলাদীতে সন্তানকে বিষপান করিয়ে হত্যার পরে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন এক মা।

বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকালে মুলাদী উপজেলার কাজিরচর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের আবদুর রশিদের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

হত্যার শিকার মেহেনাজ আক্তার (১৩) ওই বাড়ির মো. মাহাবুব হাওলাদারের মেয়ে। তার মরদেহ বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সকালে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন মুলাদী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আশরাফুল ইসলাম।

অপরদিকে মৃতের মা তাসলিমা বেগমকে প্রথমে মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

পুলিশ পরিদর্শক আশরাফুল বলেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামী মাহাবুব হাওলাদারের সাথে বুধবার সকালে ঝগড়া হয় তাসলিমার। এরপর মাহাবুব কাজের জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে গেলে সবার অজান্তে প্রথমে মেয়েকে বিষপান করিয়ে হত্যা করে নিজেও বিষপান করেন তাসলিমা।

তাসলিমার স্বামী মো. মাহাবুব হাওলাদার জানান, পারিবারিক বিষয় নিয়ে সকালে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হয়। পরে তিনি কৃষিকাজে ক্ষেতে চলে যান। সকাল সোয়া ১০টার দিকে বাড়ির লোকজনের কাছে জানতে পারেন- বিষপানে তার শারীরিক প্রতিবন্ধী মেয়ে মেহেনাজের মৃত্যু হয়েছে এবং স্ত্রী তাসলিমাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।  

একই কথা জানিয়েছেন প্রতিবেশীরাও। তাদের দাবি, মেয়ের মৃত্যু হলে তাসলিমা নিজেও কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে বাড়ির লোকজনই তাসলিমাকে উদ্ধার করে মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. তানজিলা সুখী  জানান, চিকিৎসার মাধ্যমে তাসলিমাকে কিছুটা সুস্থ করে বরিশালে পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে মুলাদী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, শিশুটির মরদেহ পুলিশ হেফাজতে রয়েছে, বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্ত হবে। অপরদিকে মেয়েটির মা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাসলিমা সুস্থ হওয়ার পর তার বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০০৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২৪
এমএস/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।