ঢাকা, মঙ্গলবার, ৮ আশ্বিন ১৪৩২, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০০ রবিউস সানি ১৪৪৭

জাতীয়

রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে বিশ্ব সম্প্রদায়কে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪:৫৭, জানুয়ারি ২৮, ২০২৪
রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে বিশ্ব সম্প্রদায়কে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান

ঢাকা: রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তন এবং মাতৃভূমি মিয়ানমারে তাদের সুন্দর ও সম্মানজনক জীবন নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার ( ২৮ জানুয়ারি) সকালে গণভবনে যুক্তরাজ্যের হাউজ অব কমন্সের অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ অন বাংলাদেশের ভাইস চেয়ার ও লেবার পার্টির এমপি বীরেন্দ্র শর্মার নেতৃত্বে ব্রিটিশ ক্রস পার্টির সংসদীয় একটি প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে।

পরে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কীভাবে রোহিঙ্গা সংকট নিরসন হতে পারে; রোহিঙ্গারা তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে ফিরে যেতে পারে এবং সেখানে সুন্দর ও সম্মানজনক জীবন পেতে পারে বিশ্বের উচিত সে বিষয়ে চিন্তা করা।

তিনি বলেন, ২০১৭ সালে অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আসে, আমরা মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদের আশ্রয় দিয়েছি। মিয়ানমার তাদের নাগরিকদের ফেরত নিতে রাজি হয়েছে কিন্তু ছয় বছর পার হলেও এখনো তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৭ সালে অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আসে, আমরা মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদের আশ্রয় দিয়েছি। মিয়ানমার তাদের নাগরিকদের ফেরত নিতে রাজি হয়েছে কিন্তু ছয় বছর পার হলেও তারা বাস্তবসম্মত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

কোভিড-১৯ মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে বৈশ্বিক আর্থিক সহায়তা কমে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা এখন বাংলাদেশের মতো একটি ছোট দেশের জন্য বিশাল বোঝা হয়ে উঠছে।

শেখ হাসিনা বলেন, জোরপূর্বক দেশ থেকে বিতারিত করার সময় বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের মধ্যে প্রায় ৪০ হাজার গর্ভবতী নারী ছিল।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সরকার ও জনগণ প্রাথমিকভাবে তাদের খাদ্য ও আশ্রয় দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের নাগরিকরা বাংলাদেশের ক্যাম্পে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এমনকি রোহিঙ্গারাও এখন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে-যার মধ্যে মাদক, অস্ত্র ও মানব পাচার এবং অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বও রয়েছে যেগুলো থেকে কখনও কখনও রক্তপাতও ঘটছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ভাসানচর দ্বীপে সরকার রোহিঙ্গাদের জন্য উন্নত আবাসনের ব্যবস্থা করেছে।

তিনি বলেন, কিছু রোহিঙ্গাকে ইতোমধ্যে ভাসানচরে পুনর্বাসন করা হয়েছে। আমরা তাদের জন্য খাবার, চিকিৎসা সুবিধা, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি বলে তারা সেখানে অনেক ভালো আছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা কয়েকটি ছোট ছোট দলে বিভক্ত। এক দল ভাসানচরে যেতে চাইলে আরেক দল বাধা দেয়।

প্রতিনিধিদল মিয়ানমার থেকে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের উদার আতিথেয়তা ও দীর্ঘায়িত রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানে তাদের সমর্থন পুনর্নিশ্চিত করতে ৩০ জানুয়ারি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবে।

এ সময় প্রতিনিধিদলে ছিলেন সাবেক টেক ও ডিজিটাল অর্থনীতির কনজারভেটিভ মন্ত্রী পল স্কুলি, এমপি, ইউকে হাউস অব কমন্স সিলেক্ট কমিটির মেম্বার ফর ফরেন অ্যাফেয়ার্স নীল কোয়েল, এমপি, হাউস অব কমন্সের বিরোধীদলীয় হুইপ অ্যান্ড্রু ওয়েস্টার্ন, এমপি এবং হাউস অব কমন্সের সিনিয়র সংসদীয় সহকারী ডমিনিক মফিট।

অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ এম জিয়াউদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) সচিব এম সালাউদ্দিন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২৪
এমইউএম/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।