ঢাকা, বুধবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ইউএস অ্যাগ্রিমেন্ট প্রতারকদের শাস্তির দাবিতে রাস্তায় ভুক্তভোগীরা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৪
ইউএস অ্যাগ্রিমেন্ট প্রতারকদের শাস্তির দাবিতে রাস্তায় ভুক্তভোগীরা

রাজশাহী: মোবাইল অ্যাপ ‘ইউএস অ্যাগ্রিমেন্ট’-এর মাধ্যমে প্রতারণা করে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেওয়া প্রতারকদের শাস্তির দাবিতে এবার রাজশাহীর আদালত সংলগ্ন এলাকায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন ভুক্তভোগী নারী-পুরুষরা।

রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত রাজশাহী আদালতের সামনের সড়কে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

কর্মসূচি চলাকালে অনুষ্ঠিত সমাবেশে ভুক্তভোগীরা বলেন, বিদেশি মুদ্রাবাজারে বিনিয়োগের নামে দেশিয় প্রতারকচক্র তাদের নিজেদের খোলা অ্যাপে বিনিয়োগ করায়। সরল বিশ্বাসে তারা মুনাফা পাওয়ার আশায় লাখ লাখ টাকা এই অ্যাপে বিনিয়োগ করেছেন। প্রতারকচক্র তাদের পথে বসিয়ে সব টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে গেছে। এ পর্যন্ত একজন ছাড়া কোনো আসামি ধরা পড়েনি।

এ সময় তারা দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান। এছাড়া লগ্নি করা টাকা ফেরত পেতে ভুক্তভোগীরা প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

ভুক্তভোগীরা জানান, প্রতি এক লাখ টাকা বিনিয়োগে প্রতিমাসে ১১ হাজার ২০০ টাকা মুনাফা রেমিটেন্স আকারে দেওয়ার লোভনীয় প্রলোভন দিয়ে এই অ্যাপে বিনিয়োগ করানো হয়। রাজশাহীর শতাধিক ব্যক্তি প্রায় ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেন। সারাদেশে এই অ্যাপে প্রায় দুই হাজার মানুষ বিনিয়োগ করে অন্তত ৩০০ কোটি টাকা খুইয়েছেন বলেও তারা জানান।

কর্মসূচি চলাকালে এই প্রতারণায় ভুক্তভোগী মোস্তাক হোসেন, ইউসুফ আলী, শফিকুল ইসলামসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।

এদিকে, প্রতারণার বিষয়টি সামনে এলে গত ১৭ জানুয়ারি রাজশাহীর রাজপাড়া থানায় প্রথম একটি মামলা হয়। পরে রাজশাহীতে আরও আটটি এবং নাটোরে একটি মামলা হয়েছে।

এই অ্যাপের নাটের গুরু সজিব কুমার ভৌমিক ওরফে মাহাদি ইসলাম (৩৩) নামের এক ব্যক্তি। রাজশাহীতে অ্যাপটির বিভাগীয় প্রধান হিসেবে ছিলেন মহানগরীর নওদাপাড়া এলাকার ওয়াহেদুজ্জামান সোহাগ (৩৮)।

সোহাগের স্ত্রী ফাতেমা তুজ জহুরা ওরফে মিলি (৩২) ছিলেন বিভাগীয় ব্যবস্থাপক। এছাড়া মিঠুন মণ্ডল (৩৬) নামের আরেক ব্যক্তি ছিলেন জেলা এজেন্ট। তাদের সবার বিরুদ্ধেই মামলা হয়েছে। এরমধ্যে, গত ১২ ফেব্রুয়ারি ফাতেমা তুজ জহুরা মিলির জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন রাজশাহীর আদালত। অন্য আসামিরা এখনও পলাতক।

পাঁচজনের বিরুদ্ধে প্রথম মামলাটি দায়েরের পর রাজশাহী মহানগর পুলিশ আসামিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ইমিগ্রেশন বিভাগে চিঠি দিয়েছে। এছাড়া তাদের ব্যাংক হিসাবে লেনদেন স্থগিত করতেও বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৪
এসএস/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।