ঢাকা, বুধবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ মে ২০২৪, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

লাঙ্গলবন্দ স্নান উৎসব ঘিরে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০২৪
লাঙ্গলবন্দ স্নান উৎসব ঘিরে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জে আসন্ন মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ স্নান উৎসব উদযাপন ঘিরে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। পাশাপাশি স্নান উৎসব ঘিরে যেন কোনো যানজট সৃষ্টি না হয় সেজন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে জেলা ট্রাফিক বিভাগ।

রোববার (১৪ এপ্রিল) সরেজমিনে লাঙ্গলবন্দ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বাঙালির ঐতিহ্য পহেলা বৈশাখের ছুটি উপেক্ষা করে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা লাঙ্গলবন্দে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন উৎসব আয়োজনের কর্মযজ্ঞ চালাতে।  

কর্মযজ্ঞে সহায়তা ও পরিশ্রম করে যাচ্ছেন মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ স্নান উদযাপন পরিষদ ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর শাখার নেতারা।

জেলা ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উৎসব ঘিরে প্রতিবছর দেশ-বিদেশের দর্শনার্থীদের ঢল নামায় এখানে যানজট সৃষ্টি হয়। এবার যেন সে ধরনের কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় এবং যান চলাচল যেন নির্বিঘ্নে হয় সেজন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পদাক শিপন সরকার শিখন বলেন, এখানে পুলিশ প্রশাসন, গোয়েন্দা সংস্থা, উপজেলা প্রশাসন, ওয়াসা, বিআইডব্লিউটিএসহ সরকারি দপ্তরগুলো আন্তরিকভাবে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত আমরা সন্তুষ্ট। স্নান এলাকায় সর্বাত্মক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। আশা করছি, গত বছর থেকে এ বছর আরও ভালো পরিবেশে স্নান উৎসব উদযাপিত হবে। দেশ-বিদেশ থেকে আসা পূর্ণার্থীদের আগমনের কথা মাথায় রেখে সব ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, সংসদ সদস্য আমাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করে সবকিছুর পর্যবেক্ষণ করছেন, খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। তিনি লাঙ্গলবন্দ স্নান উৎসব সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। এজন্য তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

এদিকে শনিবার (১৩ এপ্রিল) অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (জেনারেল) সাকিব আল রাকিব, বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাইমিন আল জিহান সরেজমিনে স্নান এলাকার প্রস্তুতি পরিদর্শন করেছেন। বোরবার বিকেল ৩টায় কেন্দ্রীয় ক্যাম্পে প্রশাসনের দায়িত্বরত সদস্যদের নিয়ে নির্দেশনামূলক জরুরি সভা করবেন। সেখানে উৎসব স্থলের নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দিক-নির্দেশনা দেওয়া হবে।

লাঙ্গলবন্দ এলাকায় ইতোমধ্যে দূর-দুরান্ত থেকে পূর্ণার্থীরা আসতে শুরু করেছেন। আগামী ১৫ ও ১৬ এপ্রিল মহাষ্টমী স্নান অনুষ্ঠিত হবে। আসা পুর্ণার্থীদের জন্য বিশুদ্ধ খাবার পানি নিশ্চিত করতে বিভিন্ন স্থানে বসানো হয়েছে পানির ট্যাংকি। তৈরি কর হয়েছে ভ্রাম্যমাণ টয়লেট। ঘাটগুলোর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০২৪
এমআরপি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।