ঢাকা, রবিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সালথায় সড়ক ধসে ১১ গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, জনদুর্ভোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২৪
সালথায় সড়ক ধসে ১১ গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, জনদুর্ভোগ

ফরিদপুর: ফরিদপুরের সালথার আটঘর ইউনিয়নের খোয়াড় গ্রামের চলাচলের পিচঢালা প্রধান সড়ক ধসে ১১ গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে এসব গ্রামের অন্তত ২০ হাজার মানুষের ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, আটঘর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের খোয়াড় গ্রাম। যে গ্রামের ৯৫ শতাংশ মানুষ কৃষি কাজের ওপর নির্ভরশীল। এ গ্রাম ছাড়াও আশপাশের কয়েক গ্রামের কৃষিপণ্য এ সড়ক দিয়েই হাট-বাজারে আনা-নেওয়া করা হয়। এছাড়া জমির ফসলও কৃষকরা এ সড়ক দিয়েই বাড়িতে আনেন। কিন্তু, হঠাৎ কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টিতে পিচঢালা এ প্রধান সড়ক ধসে যোগাযোগ সম্পন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতে খোয়াড় গ্রামসহ পার্শ্ববর্তী গোয়ালপাড়া, খাগইড়, গোবিন্দপুর, সেনহাঁটি, গৌড়দিয়া, সিংহপ্রতাপ, বালিয়া, গট্টি, ভাবুকদিয়া ও ঠেনঠেনিয়া গ্রামের অন্তত ২০ হাজার মানুষের চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। এতে ভোগান্তির সীমা নেই যেন তাদের।  

শনিবার (১৩ জুলাই) সরেজমিনে দেখা গেছে, গট্টি ইউনিয়নের ঠেনঠেনিয়া বাজার থেকে আটঘর ইউনিয়নের খোয়াড় গ্রাম হয়ে গৌড়দিয়া বাজারে মিশে গিয়েছে পিচঢালা এ প্রধান সড়কটি। এ সড়কের খোয়াড় গ্রামের মাঝবর্তী ছালাম মেম্বার ও আরশাদ মাতুব্বরের বাড়ির মাঝামাঝি জায়গায় এ সড়কটি ধসে পড়েছে। কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টিতে সড়কটির পিচসহ মাটি ধসে পাশের ডোবায় গিয়ে মিশেছে। তৈরি হয়েছে বিশাল আকারের গর্ত। ধীরে ধীরে আশপাশের বাড়ি-ঘরও ভেঙে ডোবায় মিশে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এছাড়া সড়কটির একই গ্রামের বিল্লাল মাতুব্বর ও ছাত্তার মাতুব্বরের বাড়ির সামনেও ধস শুরু হয়েছে।

এ ব্যাপারে খোয়াড় গ্রামের সামচেল ফকির, ওমর আলী, জব্বার মাতুব্বর ও মোজাফ্ফার মাতুব্বর বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের চলাচলের প্রধান সড়কটি কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টিতে ধসে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে আমরা ভোগান্তিতে পড়েছি। পার্শ্ববর্তী ১১ গ্রামের অন্তত ২০ হাজার মানুষও এ ভোগান্তির শিকার। আমরা অতি দ্রুত এ সড়কের মেরামত দাবি করছি।

আটঘর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শহিদুল হাসান খান সোহাগ বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। খোঁজ নিয়ে দেখব।

সালথা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ওয়াদুদ মাতুব্বর বাংলানিউজকে বলেন, খোয়াড় গ্রামের কয়েকজন আমাকে সড়কটির বিষয়ে জানিয়েছেন। সড়কটি মেরামতের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হবে।

এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে সালথা উপজেলা প্রকৌশলী আবু জাফর মিয়ার অফিসে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে তার মোবাইলফোন নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও ফোনটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

তবে এ ব্যাপারে সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনিছুর রহমান বালী বাংলানিউজকে বলেন, আমরা ধসে যাওয়া ওই সড়কের কয়েকটা ছবি মোবাইলফোনের ক্যামেরায় দেখেছি। তবে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে ধসে যাওয়া সড়কটি মেরামতে ব্যবস্থা নেব।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২৪
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।