ঢাকা, বুধবার, ১ শ্রাবণ ১৪৩১, ১৭ জুলাই ২০২৪, ১০ মহররম ১৪৪৬

জাতীয়

জলাবদ্ধতা নিরসনে ডিএনসিসির সমন্বয় সভা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫২ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২৪
জলাবদ্ধতা নিরসনে ডিএনসিসির সমন্বয় সভা

ঢাকা: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে সমস্যা চিহ্নিতকরণ, কারণ অনুসন্ধান, প্রতিকারের উপায় নির্ধারণ ও সমাধানের কর্মপদ্ধতি বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় সভা করেছে ডিএনসিসি।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেলে অনলাইনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলমের সভাপতিত্বে সভায় অংশ নেন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প, বাংলাদেশ রেলওয়ে, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, গণপূর্ত অধিদপ্তর, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ও ঢাকা আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের প্রতিনিধিরা।

ডিএনসিসি আওতাধীন কয়েকটি এলাকার জলাবদ্ধতার কারণ ও সমাধানে করণীয় বিষয়ে ডিএনসিসির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফারুক হাসান মো. আল মাসুদ একটি প্রেজেন্টেশন দেন।

উপস্থাপনার বিষয় পর্যালোচনা করে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশেপাশে এলাকা, নাখালপাড়া, মহাখালী ডিওএইচএস এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃক নতুন পাইপলাইন নির্মাণ কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে।

এ সময় ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এয়ারপোর্ট রোড, নাখালপাড়া লেভেল ক্রসিং থেকে তেজগাঁও রেলস্টেশনের দিকে প্রায় ৫১১ মিটার ক্ষতিগ্রস্ত ব্রিক স্যুয়ার লাইন সর্বোচ্চ ব্যাসের পাইপ দ্বারা নতুনভাবে নির্মাণ এবং পাগলার পুল ও হযরত মোহাম্মদ (সা.) জামে মসজিদ সংলগ্ন কালভার্ট নতুনভাবে সিঙ্গেল ভেন্ট এ ডিজাইন করে ডিএনসিসির সঙ্গে সমন্বয় করে মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নে বাংলাদেশ রেলওয়েকে আহ্বান জানান।

এছাড়াও বিমানবন্দর রেলস্টেশন সংলগ্ন জলাধার সংরক্ষণ করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে প্রকল্প বাস্তবায়নের আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, 'বিমানবন্দর রেলওয়ের পূর্ব পাশের জলাধার ভরাট করে প্রকল্প বাস্তবায়ন করলে বিমানবন্দর, উত্তরা ও দক্ষিণখান এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে। অতএব এ গুরুত্বপূর্ণ জলাধারটি সংরক্ষণ করা আবশ্যক। এটি ভরাট করলে ওই এলাকায় জলাবদ্ধতা তীব্র আকার ধারণ করবে। '

মীর খায়রুল আলম বলেন, বিআরটি প্রকল্পের নির্মাণ কাজ চলাকালে এয়ারপোর্ট রোডে অপর্যাপ্ত সাইড ড্রেন নির্মাণ ও বিদ্যমান নেটওয়ার্ক সম্পন্ন হওয়ায় জলাবদ্ধতা বেড়েছে। এ এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরকে আমরা ইতোমধ্যে অনুরোধ জানিয়েছি। এটি দ্রুত বাস্তবায়ন জরুরি।

তিনি বলেন, সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কাওলা ক্রস কার্লভার্টের উত্তর পাশে সিভিল এভিয়েশন খালের উভয়পাশে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। ফলে খালের প্রশস্ততা পূর্বের তুলনায় অনেকটা কমে গিয়েছে। এছাড়া ওয়াকওয়ের পাশে স্তূপাকৃত মাটি জমে খাল ভরাট হয়ে যাচ্ছে। খালের প্রশস্ততা ঠিক রেখে নির্মাণ কাজ করার জন্য সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে আহ্বান করছি।

ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প কর্তৃক উন্নয়ন কাজ চলাকালীন উত্তরার সেক্টর-২, ৪, ৬ ও ৮ এর পূর্ব পাশের রেললাইন সংলগ্ন বিদ্যমান আরসিসি ড্রেন অক্ষত রাখা এবং উক্ত আরসিসি ড্রেনের পূর্ব পাশে বৃহৎ ব্যাসের পাইপ লাইন স্থাপনের বিষয়েও আমরা তাদের আহ্বান জানিয়েছি বলে জানান ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।

সবশেষে মীর খায়রুল আলম বলেন, সব সংস্থা কর্তৃক গৃহীত উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করতেই হবে। শহরের জন্য এগুলো প্রয়োজন। কিন্তু শহরের পরিবেশ ঠিক রেখে, জলাবদ্ধতা যেন সৃষ্টি না হয় সেটি নিশ্চিত করে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয় না হলে শুধু সিটি করপোরেশনের কর্মীদের পক্ষে দ্রুত সময়ে ভারী বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা দূর করা কঠিন।

জলাবদ্ধতা নিরসনের টেকসই সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে ডিএনসিসির সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

সভায় অন্যান্যের সঙ্গে আরও অংশ নেন ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান, ডিএনসিসির সব আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী প্রকৌশলীরা।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫২ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২৪
এমএমআই/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।