ঢাকা, শনিবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৭ জুলাই ২০২৪, ২০ মহররম ১৪৪৬

জাতীয়

মুক্তিযোদ্ধাদের কার্যালয় তছনছকারীদের উচিৎ শিক্ষা দিতে হবে: মোজ্জাম্মেল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩০ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০২৪
মুক্তিযোদ্ধাদের কার্যালয় তছনছকারীদের উচিৎ শিক্ষা দিতে হবে: মোজ্জাম্মেল

ঢাকা: মুক্তিযোদ্ধাদের কার্যালয় তছনছকারীদের উচিৎ শিক্ষা দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

বুধবার (২৪ জুলাই) বিকেলে কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশে (আইডিইবি) আয়োজিত বিএনপি-জামায়াতের দেশব্যাপী হত্যা-নৈরাজ্য, সরকারি স্থাপনা ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মত বিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

সভার আয়োজন করে মুক্তিযোদ্ধা শ্রমিক, কর্মচারী, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, আপনাদের (মুক্তিযোদ্ধাদের) হৃদয়ে যে রক্তক্ষরণ হচ্ছে একই ব্যথা ও কষ্ট আমারও হচ্ছে। বিশেষ করে যেহেতু মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আমি আছি, আপনাদের সবার দুঃখ-কষ্ট আমার ওপরেই বর্তায়। যেহেতু আমরা যোদ্ধা, যুদ্ধের একটি কৌশল- কখনও কখনও পিছিয়ে যাওয়া। মুক্তিযোদ্ধা কোটা যে ৫ শতাংশ দেওয়া হয়েছে, সেটা কি সন্তান পর্যন্ত থাকবে নাকি পরবর্তী প্রজন্ম পর্যন্ত- সেটা আমাদের (মন্ত্রণালয়) ওপর ছেড়ে দেওয়া হোক। আমরা এটি নিয়ে আদালতের কাছে আবেদন করবো। কারণ, যদি শুধু সন্তান পর্যন্ত সীমারেখা দেওয়া হয়, তাহলে কোটা থাকা না থাকা সমান।

নরসিংদী ও মাদারীপুরের সহিংসতা পরিস্থিতি পরিদর্শনের কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এ দুই জেলায় আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের কার্যালয় তছনছ করা হয়েছে। যারা এটি করেছে তাদের যেন বিচারবিভাগীয় তদন্ত হয় এজন্য জেলা প্রশাসকসহ (ডিসি) সংশ্লিষ্টদের আমরা জানাবো। যারা আমাদের কার্যালয়ে হাত দিতে পারে, সেটি শুধু ভেঙে দিলেই হবে না। তাদের চিরদিনের মতো এমন শিক্ষা দিতে হবে, যাতে জীবনে আর এমন সাহস না করতে পারে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা শ্রমিক, কর্মচারী, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ও সাবেক নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান। তিনি সভার মাধ্যমে কয়েকটি কর্মসূচি ঘোষণা করেন। সেগুলো হলো-

২৫ জুলাই সব সংগঠনের পক্ষ থেকে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে প্রতিনিধি সভা করা; ২৬ জুলাই নরসিংদীর জেল ভেঙে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং সেখানকার জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে মতবিনিময় সভা করা; ২৭ জুলাই মাদারীপুরের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স পরিদর্শন এবং জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে মতবিনিময় সভা করা; ২৮ থেকে ৩০ জুলাই পেশাজীবী সংগঠনের সঙ্গে মত বিনিময়; ৩১ জুলাই জাতীয় পতাকা, মুক্তিযোদ্ধাদের পতাকা ও শ্রমিকদের লাল পতাকা নিয়ে ঢাকায় বিশাল মিছিল করা।

মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব.) হেলাল মোর্শেদ খান বীন বিক্রম, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০২৪
এসসি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।